মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

আয় বাড়াতে ভবন প্রকল্প

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

আয় বাড়াতে ভবন প্রকল্প

রাজশাহীতে সিটি করপোরেশনের তিনটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের কাজের দৃশ্যমান অবকাঠামো নির্মাণ হলেও মাঝপথে তা আটকে গিয়েছিল। নির্মাণাধীন ভবন তিনটি হলো সিটি সেন্টার, দারুচিনি ও স্বপ্নচূড়া প্লাজা। দফায় দফায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে রাসিক। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। তবে এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশনের আয় বাড়ানোর জন্য নেওয়া এই তিন প্রকল্প।

পিপিপির আওতায় নির্মাণাধীন এই তিন প্রকল্প শিগগিরই শেষ করে সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো। শামসুজ্জামান জেভির স্বত্বাধিকারী শামসুজ্জামান আওয়াল জানান, তার অধীনে থাকা বহুতল ভবনটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সিটি করপোরেশনের অংশটি শিগগিরই তিনি বুঝিয়ে দেবেন।

সোনাদীঘির মোড়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুরনো ভবনের জায়গায় নির্মাণাধীন সিটি সেন্টার ১৬ তলা হওয়ার কথা। সিটি সেন্টারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন হয় ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর। ৩৬ মাসে এর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। তবে গত ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ভবনের নির্মাণ কাজের শেষ হচ্ছে না। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি এনামুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজ এটি নির্মাণ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সিটি সেন্টার ভাড়া দেওয়ার কথা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে। এতে শপিং মল, ব্যাংক, সিনেপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী সিটি সেন্টারের পাশে মসজিদ, হাঁটার পথ, আইটি লাইব্রেরি এবং সোনাদীঘির পাড়ের বর্তমান দোকানগুলোর পুনর্বাসনের কাজও করার কথা এনা প্রপার্টিজের। এ ছাড়া ৩১ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন স্বপ্নচূড়া প্লাজা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হবে এবং ৬৭ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন দারুচিনি প্লাজায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিছু অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এসব ভবন নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শুরু হলেও সবকটি মাঝপথে আটকে ছিল। তবে দ্বিতীয় দফায় এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এই তিন প্রকল্পে গতি ফেরে। সিটি সেন্টারের কাজ আবারও শুরু হয়েছে। দিনরাত চলছে কাজ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, দ্রুত কাজ শেষ করে সিটি করপোরেশনকে তাদের অংশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এটি উত্তরাঞ্চলের একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হবে।  রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, নগরীর এ তিনটি ভবন আয় বাড়াতে নেওয়া হয়েছিল। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা গাফিলতি দেখিয়েছে। তবে এবার দায়িত্ব নিয়েই এই তিন প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। শিগগিরই তারা নির্মাণকাজ শেষ করে সিটি করপোরেশনকে তার অংশ বুঝিয়ে দেবে- এমন কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এই তিন প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনের আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মেয়র।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর