চট্টগ্রাম নগরে এম আজিজ স্টেডিয়াম মাঠ। পুরো মাঠই সবুজ। সবুজ ঘাস অন্যরকম রূপ দিয়েছে মাঠকে। মন জুড়ানো দৃশ্য। এ মাঠেই থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তাসামগ্রী। আছে নিরাপদ দূরত্ব। এখান থেকেই গরিব, অসহায়, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ এবং করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ গ্রহণ করবেন সহায়তা। ধারাবাহিক এ সহায়তায় হাসি ফুটছে অসহায়দের মুখে। তাদের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তাগুলো বিতরণ করছে। বৈশি^ক মহামারী করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এরপর থেকেই সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ-শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে সরকারি উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তার উপহারসামগ্রী দিয়ে আসছে। ১ জুলাই থেকে জেলা প্রশাসন ২০ হাজার পরিবারের মাঝে সহায়তাসামগ্রী প্রদান এবং নগদ ১২ লাখ টাকা বিতরণ করে। উপকারভোগীদের মধ্যে আছে অসহায়-অসচ্ছল, করোনার ক্রান্তিলগ্নে কর্মহীন, ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ, দরিদ্র, সড়ক পরিবহন শ্রমিক, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, কনভেনশন হল ও ডেকোরেটর্স শ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, ছিন্নমূল এবং বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ও অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো- করোনাকালে কেউ যেন অভুক্ত না থাকে। সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন শ্রেণি-পেশা হিসাব করে অসহায়-ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে নিয়মিত সহায়তাসামগ্রী বিতরণ করে আসছে। আমরা চাই, কর্মহীন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে। সহায়তা পেয়ে অনেকের স্বস্তির চেহেরা দেখে খুশি হই। তাছাড়া মধ্যবিত্ত শ্রেণিও গোপনে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চেয়েছে। রাতের আঁধারে সে সহায়তা গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে কাক্সিক্ষত ব্যক্তির ঘরে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, সাধারণত অসহায় মানুষদের বিত্তবানসহ অনেকেই সহায়তা করেন। কিন্তু নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত, যারা মুখ ফুটে প্রকাশ্যে সহায়তা চাইতে পারেন না, নানা কারণে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করেন, তারাও সাহায্য চেয়ে সরকারি ৩৩৩ নম্বরে ফোন এবং এসএমএস দিয়ে সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন।