মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহে এডিস মশার ১৪০ হটস্পট

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে এডিস মশার ১৪০ হটস্পট

করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি এখন ডেঙ্গুর আতঙ্কও জেঁকে বসেছে নগরবাসীর মধ্যে। তাই এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে শুরু থেকেই সাবধান ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। ইতিমধ্যে সিটির ১৪০টি মশার আবাসস্থলের হটস্পট চিহ্নিত করেছে মসিক। নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা মিললে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হচ্ছে। মসিক সূত্র জানায়, গত ২৬ জুলাই থেকে ১২ দিনব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক এডিস মশার বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে শুরু হয়েছে ক্রাশ প্রোগ্রাম। সিটি মেয়রের সরাসরি তদারকিতে নির্ধারিত ওয়ার্ডে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত লার্ভিসাইড এবং বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে মসিকের কাউন্সিলররাও ভূমিকা রাখছেন।

মসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব জানান, করোনাকালেও সিটির মশক নিধন কর্মসূচি জোরেশোরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিটিতে ১৪০টি মশার আবাসস্থলের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। মশক নিধনে ড্রেন, খাল, জলাশয়ে ১০ হাজার ব্যাঙ এবং ৫০ হাজার মশাভুক মাছও অবমুক্ত করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানাও। ইতিমধ্যে পাঁচটি মামলায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছে নির্মাণাধীন ভবন মালিক ও প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে চালানো হচ্ছে প্রচারণা। সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ নিয়ে আমরা মশক নিধনে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করছি। জৈব উপায়ে মশক নিধনেরও চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মশক নিধন প্রক্রিয়া একটি সামগ্রিক বিষয়। আমাদের কর্মকান্ডের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা যুক্ত না হলে মশক নিধন কর্মসূচি সফল করা কষ্টসাধ্য।

সর্বশেষ খবর