মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

কাজী নজরুল চত্বর এডিসের হটস্পট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

কাজী নজরুল চত্বর এডিসের হটস্পট

নগরীর রিকাবীবাজারে কাজী নজরুল চত্বরে জমে থাকা বৃষ্টির পানি এডিস মশার হটস্পট

করোনা সংক্রমণের এই সময়ে সিলেটে ডেঙ্গুর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশন শুরু করেছে মশক নিধন অভিযান। বাসাবাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত বোতল, ডাবের খোসায় যাতে বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সে জন্য সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে। এরই মধ্যে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের গোলচত্বরগুলো হয়ে ওঠেছে ডেঙ্গুর বংশবিস্তারের হটস্পট। দীর্ঘদিন গোলচত্বর পরিষ্কার না করা, চত্বরে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকা এবং পরিত্যক্ত পানির বোতল ও ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন পাত্রে পানি জমে থাকায় এসব চত্বরে এডিস মশার বিস্তার ঘটছে।

সিলেট নগরীর চন্ডিপুল, হুমায়ূন রশিদ চত্বর, রিকাবীবাজারস্থ কাজী নজরুল চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ের গোলচত্বর ঘুরে দেখা গেছে, অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে এসব চত্বর। কোথাও ময়লা- আবর্জনা জমে আছে, কোথাও কয়েক ফুট লম্বা ঘাস জন্মেছে। কোনো কোনো চত্বরে পড়ে থাকা পানির  বোতলসহ বিভিন্ন পাত্রে জমে আছে বৃষ্টির পানি। রিকাবীবাজারস্থ কাজী নজরুল চত্বরের ভিতরে জমে আছে বৃষ্টির পানি। নগরীর নাইওরপুল ও শাহী ঈদগাহ ফোয়ারা চত্বরে ফোয়ারা নষ্ট হয়ে জমে আছে পানি। চত্বরগুলোতে মশা-মাছি উড়তে দেখা গেছে। বিশেষ করে রিকাবীবাজারে নজরুল চত্বরে দীর্ঘদিন জমে আছে বৃষ্টির পানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- পরিত্যক্ত জায়গা, ডোবার স্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ারে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার বিস্তার ঘটে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম তাঁর টিম নিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি পরীক্ষা করে দেখছেন কোথাও এডিস মশার লার্ভা রয়েছে কি না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরীতে মশক নিধন অভিযান চলছে। তবে নগরীর চত্বরগুলো আসলে পরীক্ষা করা হয়নি। এসব চত্বরে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা আছে কি না তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। শিগগিরই স্বাস্থ্য বিভাগ চত্বরগুলোতে জমে থাকা পানি পরীক্ষা এবং চত্বর পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা নেবে।

উল্লেখ্য, করোনাকালে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে ১০ দিনের মশকনিধন অভিযান শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। গত ৬ আগস্ট বিকালে ফগার মেশিন দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ডেঙ্গু মশার উৎস সন্ধান করে এ কার্যক্রম চলবে। নগরীর কোথাও কোনো ডেঙ্গুবাহী মশার উৎসের সন্ধান পেলে করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানোর আহ্বান জানান মেয়র।

সর্বশেষ খবর