মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

অক্সিজেন সেবায় স্বস্তির নিঃশ্বাস

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

অক্সিজেন সেবায় স্বস্তির নিঃশ্বাস

কুমিল্লা নগরীর মগবাড়ী। আষাঢ়ের টানা বৃষ্টির শেষ রাত। করোনা আক্রান্ত জাহানারা বেগমের অক্সিজেন প্রয়োজন। স্বজনরা অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করতে পারছেন না। নতুন সিলিন্ডারও পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার হটলাইন নম্বরে ফোন দিলেন। এক মোটরবাইকে বৃষ্টিতে ভিজে দুজন স্বেচ্ছাসেবক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাসায় হাজির।

২০ এপ্রিল রাত সোয়া ১২টা। মোগলটুলী এলাকার শাহিন আক্তার করোনা আক্রান্ত। কোথাও অক্সিজেন পাচ্ছেন না। খুব অসহায় হয়ে পড়লেন মেয়ে শাহিদা। পরে ফোন দেন জাগ্রত মানবিকতার কো-অর্ডিনেটর তুহিনকে। তুহিন ফোন পেয়ে অক্সিজেন পৌঁছে দেন। অক্সিজেন পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন শাহিদার মা। করোনা সংক্রমণের পর থেকে এভাবেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীদের বাসায় যাচ্ছেন জাগ্রত মানবিকতার স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের অক্সিজেন পেয়ে নগরীতে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছেন শত শত রোগী। ২০১৬ সালে রক্তদানের জন্য গঠিত হয় জাগ্রত মানবিকতা। সংগঠনটি এখন খাবার, ওষুধ ও অক্সিজেন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা জানান, জাগ্রত মানবিকতা পাঁচ শতাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীকে অক্সিজেন সেবা দিয়েছে। ১০০ সিলিন্ডার দিয়ে চলছে এই অক্সিজেন সেবা। অক্সিজেন চেয়ে প্রতিদিন রাত-বিরাতে ফোন আসে। তখন দোকানও খোলা থাকে না।

অনেক রোগী বাসায় চিকিৎসা নেন। শ্বাসকষ্ট হলে আমাদের ফোন করেন। সংগঠনের ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত থাকেন। ফোন পেয়েই তারা ছুটে যান রোগীর বাসায়। তাদের কাছে যখন শুনি অক্সিজেন পেয়ে একজন মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তখন ভীষণ ভালো লাগে। এ কাজে সহায়তার জন্য তার স্বামী বিসিবির কাউন্সিলর ও কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম রনিকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, করোনার এই সংকট সময়ে জাগ্রত মানবিকতাসহ বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছেন। তাদের এই কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

সর্বশেষ খবর