মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

হাসি ফোটাচ্ছে হেল্প পিপল

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

হাসি ফোটাচ্ছে হেল্প পিপল

করোনায় কর্মহীন অনাহারি মানুষের কষ্টে দিন কাটছে। প্রথম ঢেউয়ের সময় অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন ত্রাণ নিয়ে। এবার পথে বসে থেকেও সাহায্য পাচ্ছেন না মানুষ। গরিব, অসহায়, ছিন্নমূল ও রিকশাচালকরা বেশির ভাগ সময়ই ঘরবন্দী থাকছেন। দফায় দফায় লকডাউনে সমন্বয়হীন মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। অধিকাংশেরই রোজগার বন্ধ। মানুষের কাছে হাত পেতে বা চেয়ে খাওয়ারও কোনো উপায় নেই তাদের। কাজ না থাকায় অনেকেই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এমন সময় নগরীতে ছিন্নমূল মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ‘হেল্প পিপল অর্গানাইজেশন’। এটি ছোট্টদের একটি বড় যুদ্ধ। সংগঠনের সবাই ছোট এবং ছাত্র। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি এই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ব্যতিক্রমী এই সংগঠন অসহায়দের খুঁজে বেড়ায়। অসাধারণ কাজটি করে চলেছেন আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসা স্বাপ্নিক তরুণরা। নগরীতে ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা কম নয়। করোনায় অসহায় মানুষের দুর্দশা দেখে একদল যুবক ‘হেল্প পিপল অর্গানাইজেশন’ সংগঠনটি শুরু করেন।

ক্ষুধার্তকে খাওয়ানোর আনন্দ থেকে তাদের যাত্রা শুরু ‘দুই টাকার হোটেল’ দিয়ে। স্বল্প পরিসরে হলেও শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছিন্নমূল মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে সংগঠনটি। বর্তমানে সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিনে তারা একবেলা খাবার বিতরণ করছেন। খাবার বিনামূল্যে বিতরণ হলে গ্রহীতাদের মাঝে সংকোচ তৈরি হবে- এই ধারণা থেকে খাবার মূল্য দুই টাকা ধরা হয়েছে। যারা এ খাবার বিতরণ করছেন, তারাও খুব একটা সচ্ছল নন। তাদের কোনো তহবিল নেই, বড় কোনো অর্থদাতা নেই। নিজেদের প্রতিদিনের খরচ থেকে টাকা জমিয়ে প্রতি মাসের শুরুতে সবার টাকা একত্র করে কেনা হয় চাল, ডাল, লবণ, মসলা, তেলসহ রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ। তারপর নিজেরাই রান্না করে খাওয়াচ্ছেন। তাদের আপনজনরাও সহায়তায় এগিয়ে আসেন এমন মহতী উদ্যোগে। হেল্প পিপল অর্গানাইজেশনের সদস্য সংখ্যা ১০০ জন। অধিকাংশই রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।

হেল্প পিপল অর্গানাইজেশনের প্রধান আল-রশিদ রাহি বলেন, করোনায় অনেক অসহায়, গরিব মানুষ না খেয়ে দিন পার করছে। আমার মনে হয়, তাদের জন্য কিছু একটা করা প্রয়োজন। শুরুতে নিজের সামান্য টাকা দিয়েই সহায়তা শুরু করি। পাশাপাশি ফেসবুকে প্রচার করি। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা পাই। এভাবেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর