মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে মনসুর আলী পার্ক

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বদলে যাচ্ছে মনসুর আলী পার্ক

বদলে যাচ্ছে রাজশাহীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্ক। যেটি বর্তমানে ভদ্রা পার্ক হিসেবে পরিচিত। ১৯৮২ সালে নির্মিত পার্কটিতে ৪৩ বছর ধরে সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ হয়নি। পার্কটি দৃষ্টিনন্দন করতে পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) প্রায় ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢেলে সাজাবে পুরো পার্কটি। স্থাপন করা হবে আধুনিক রাইড, পারিজাত পুকুরপাড়কে করা হবে গ্যালারি। এ ছাড়া থাকছে দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি ওয়াল, রিটেইনিং ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, অ্যাম্পিথিয়েটার, লেকের ওপরে তিনটি স্টিল ব্রিজ তৈরি ও ট্রয় ট্রেন। এই কাজগুলো সম্পন্ন হলে রাজশাহীর মানুষের বিনোদনের খোরাক মেটাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পার্কে ট্রয় ট্রেন চলাচলের জন্য ৩৪২ মিটার পার্ক ট্রেন লাইন স্থাপিত হবে। শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন রাইড স্থাপিত হবে
১৯৮২ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়িত পদ্মা আবাসিক এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২ দশমিক ৫৬ একর জমির ওপরে শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্ক (ভদ্রা পার্ক) প্রতিষ্ঠিত হয়। নগরবাসীর বিনোদন, খেলাধুলা, অনুশীলন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্কের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়ন এবং পার্কসংলগ্ন লেকের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পার্কে সব বয়সের মানুষের হাঁটার জন্য রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের জন্য অযান্ত্রিক খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। পার্কটিতে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বৃক্ষরোপণ, গার্ডেনিং এবং ল্যান্ডস্কেপিং করা হবে। বিনোদনের জন্য রাজশাহী নগরীসহ দূর-দূরান্ত থেকে জনসাধারণ পার্কটিতে আসে। পার্কটি ঘিরে আশপাশের এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায়। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পে ৩৬ হাজার ৫২০ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৪৫০ মিটার বাউন্ডারি ওয়াল নির্মিত হবে। ৪ হাজার ৩০০ মিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ১০ হাজার ২৭৫ বর্গমিটার ফুটপাথসহ পার্কিং এলাকা বহিপ্লাজা ছাড়াও ১৪২০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মিত হবে।

এ ছাড়া প্রকল্পে লেকের ওপরে তিনটি স্টিল ব্রিজ তৈরি হবে। পার্কে ট্রয় ট্রেন চলাচলের জন্য ৩৪২ মিটার পার্ক ট্রেন লাইন স্থাপিত হবে। শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন রাইড স্থাপিত হবে। নগরীর সবুজায়ন এলাকা বৃদ্ধির জন্য গার্ডেনিং এবং ল্যান্ডস্কেপিং করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগামী বছরের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

আরডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল তারিক জানান, পার্কটি দৃষ্টিনন্দন করতে আমরা কাজ করছি। আধুনিক বিনোদন সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। লেক, পার্ক ও বিনোদন সুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহী নগরবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

সর্বশেষ খবর