মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খাদ্যপণ্যে ভেজাল থামছেই না

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

খাদ্যপণ্যে ভেজাল থামছেই না

চট্টগ্রাম মহানগরে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে খাবার তৈরি কোনো মতেই থামছে না। প্রাপ্ত বয়স্কদের খাবার তো বটেই, শিশুদের খাবারও তৈরি করা হচ্ছে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার লোভে এমন পরিবেশে খাবার তৈরি করছে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে প্রায়ই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, চসিক অভিযান করে, জরিমানা করে। কিন্তু ব্যবসার লাভের তুলনায় অভিযানের জরিমানা নিতান্তই কম। ফলে জরিমানা পরোয়া করে না অসাধু ব্যবসায়ীরা। জরিমানা  গোনার পর অসাধু চক্রগুলো ফের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে। অভিযানের পর এসব প্রতিষ্ঠানে পুনরায় তদারকিও করা হয় না।

চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, চসিকের উদ্যোগে প্রতিদিনই ভেজাল খাবার তৈরির বিরুদ্ধে অভিযান হয়। অভিযানে জরিমানা এবং ক্ষেত্র বিশেষ প্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা পুনরায় ভেজাল খাবার তৈরি শুরু করে। এখানে পরবর্তীতে মনিটরিং করার সুযোগ থাকে না। এত বড় শহরে এটি সম্ভবও নয়। গত ২৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালির পাথরঘাটা এলাকায় নোংরা পরিবেশে শিশুখাদ্য জেম, জেলি, লিচি, আইসবার ও ললিপপ উৎপাদন করায় একটি কারখানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত ২৫ আগস্ট পাঁচলাইশের মুরাদপুর এলাকায় নোংরা পরিবেশে পণ্য উৎপাদন করায় দুটি বেকারিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত ৩১ আগস্ট কোতোয়ালি থানার বক্সিরহাট এলাকায় একটি বেকারি ও মুড়ি ফ্যাক্টরিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর নগরের চাঁদগাওয়ের পাঠানিয়াগোদা এলাকায় নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করায় একটি বেকারি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এভাবে নিয়মিত অভিযান হলেও পরিবর্তন হয় না ভেজাল খাবার তৈরির চিত্র।

সর্বশেষ খবর