মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রড টিনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

রড টিনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন

নগরীতে বাড়ছে রড, টিন ও বাঁশসহ নির্মাণসামগ্রীর ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন। এতে যানজট ও ভোগান্তি বাড়ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কের উভয় পাশে ডজনেরও বেশি নির্মাণসামগ্রীর দোকান রয়েছে। লাকসাম রোডের ব্যস্ততম সড়কের পাশে তৈরি হয়েছে অনেক রড সিমেন্টের দোকান। শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশে রাজগঞ্জে রয়েছে টিন, সিমেন্টের দোকান। অলি, গলিসহ মূল সড়কে গড়ে উঠছে রড, সিমেন্ট, টিনের দোকান। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী মনে করেন, ইট, রড, সিমেন্ট, টিনসহ নির্মাণ পণ্যের গাড়ি রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যাতায়াত করা উচিত। এ বিষয়ে আইন আছে, প্রয়োগ নেই। ট্রাফিক পুলিশ, সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে তা সমাধান হতে পারে। টিন, রডের গাড়ির সামনে পেছনে ভারী কাপড়, বস্তা বেঁধে দেওয়া হলে দুর্ঘটনা কম হবে।

মেসার্স শান্তা ট্রেডার্সের মালিক মোমেন মিয়া বলেন, আমরা মালামাল গোডাউন করি রাতে। ক্রেতা যারা তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাল নিয়ে যায়। সব সময় চালকদের বলি রডের গাড়ির সামনে পেছনে কাপড় বেঁধে রাখতে। তারা কথা শুনে না।

কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. এমদাদুল হক জানান, টিন, রড নিয়ে একটি গাড়ি ডানে, বামে ঘুরতে গেলে পুরো রাস্তা ব্লক হয়ে যায়। পুলিশের নজরে আসলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিয়ম ভঙ্গের কারণে অনেক সময় নিরাপত্তা মামলা করি। ছোট ট্রাক, পিকআপ ভ্যানকে জরিমানা করা হয়। রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি থামিয়ে তাদের আমরা কাপড় বা পলিথিন বেঁধে দেই।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, মেডিকেল-বাখরাবাদ সড়কটি মোটামুটি প্রশস্ত আছে। রোড ডিভাইডার হলে যত্রযত্র গাড়ি ঘুরানো বন্ধ হতো। ইদানীং এ সড়কে রড, সিমেন্টের ট্রাক বেশি দেখা যায়। হাসপাতালের সড়ক হওয়ায় এখানে অ্যাম্বুলেন্স, মুমূর্ষু রোগী, ডাক্তারসহ জরুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতরা যাতায়াত করেন। সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকতায় এ সমস্যা সমাধান হতে পারে। বহুদিন ধরে এ সমস্যার কথা আমরা বলছি, কিন্তু কেউ শুনছে না।

কুমিল্লা সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, যানজটের সমাধান একা সম্ভব নয়। ট্রাফিক পুলিশ, চালক, দোকান মালিক সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর