মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

দুয়ার খুলেছে শেখ হাসিনা শিশু পার্কের

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

দুয়ার খুলেছে শেখ হাসিনা শিশু পার্কের

সিলেট নগরীতে বিনোদনের খুব একটা সুযোগ নেই। নগরীর ধোপাদীঘির পূর্বপাড়ে নামেমাত্র একটি শিশুপার্ক থাকলেও সেটি দেওয়া হয়েছে ইজারা। ইজারাদারের অব্যবস্থাপনার কারণে ‘ওসমানী শিশু পার্ক’ নামের এই ছোট বিনোদন কেন্দ্রটি আকর্ষণ করতে পারে না শিশুদের।

এই অবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশন ২০০৬ সালে নতুন আরেকটি শিশু পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। নামকরণ জটিলতা, অপ্রতুল বরাদ্দসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পার্কটির নির্মাণ কাজ। অবশেষে নির্মাণ শুরুর ১৫ বছর পর দ্বার উন্মোচিত হয়েছে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’-এর। গত শনিবার পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সব রাইড পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কয়েক দিনের মধ্যে পার্কটি সিলেট-১ আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উদ্বোধন করবেন।

গত শনিবার পার্কটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পরই দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। শিক্ষার্থীরা ভিড় করেন পার্কে। ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে পার্কে ঢুকে তারা ফি ছাড়াই সব রাইডে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আপাতত রাইডের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণের চিন্তা করছে না সিটি করপোরেশন। তবে উদ্বোধনের পর এ নিয়ে চিন্তাভাবনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সুরমা নদীর তীর ঘেঁষে পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। পার্কে স্থাপিত রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে- রোলার কোস্টার, ম্যাজিক প্যারাস্যুট, মনোরেল, ভিজিটিং ট্রেন, পাইরেট শিপ, স্লিপার, সিসরাইড, বোট, টুইস্টার, বাম্পার কার, ফ্লাইং চেয়ার, নাগরদোলা, ফ্যারসেল, জাম্পিং ফ্রগ। ম্যাজিক প্যারাসুটে একসঙ্গে ১৮ জন ৭০ ফুট উঁচুতে ওঠানামা করতে পারবেন। মনোরেলে মাটি থেকে ১৫ ফুট উচ্চতায় ১ হাজার ৩৬১ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে।

এটি বসানো হয়েছে পার্কের চারপাশজুড়ে। ভিজিটিং ট্রেন দিয়ে একসঙ্গে ২৬ জনকে নিয়ে ৪২০ ফুট ঘোরা যাবে। পার্কের ৯টি রাইড ছাড়া বাকিগুলোয় বিনা খরচে চড়া যাবে। সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলক চালু অবস্থায় যেসব সমস্যা চিহ্নিত হবে তা সমাধানের পরই পার্কটি উদ্বোধন করা হবে। ২০০৬ সালের পর থেকে নানা তৎপরতা শেষেও পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শেষ না হওয়ায় ২০০৮ সালে বরাদ্দের ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ফেরত যায়। পরে ২০১৪ সালে আবারও পার্কটির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পার্কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করতে তৎকালীন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দেন। ডিও লেটারের সূত্র ধরে পার্কটির নামকরণ হয় ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’।

অবশেষে ১৫ বছর পর পার্কটি চালু হলো। তবে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, পার্কটির উন্নয়ন কাজ এখনো অনেকটা বাকি রয়েছে। পরিকল্পনা করে বৃক্ষরোপণ করা হবে, বসানো হবে আরও কিছু রাইড।

সর্বশেষ খবর