মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেহাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বেহাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

পুরো বাস টার্মিনালের ভিতর কাদাপানি। পানির মধ্যে বাসগুলোই কেবল রাখা হয়েছে। কিন্তু ভিতরে যাত্রীদের যাওয়ার উপায় নেই। শুধু বর্ষাকালে নয়, সারা বছরই এমন বেহাল দশা থাকে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের। নগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থিত এই বাস টার্মিনালটিই সবচেয়ে পুরনো। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এটির রক্ষণাবেক্ষণ করে। টার্মিনালের ভিতর কাদাপানিতে একাকার থাকায় বাসগুলোকে যাত্রী তুলতে হয় সড়কে। বাসের মেরামতের কাজও চলে সড়ক দখল করে। ফলে রাস্তাটিতে যানজট লেগেই থাকে।

টার্মিনালের বেশির ভাগ অংশই কাদাপানিতে ডুবে আছে। পুরো টার্মিনালই ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। ভিতরে কিছু গাড়ি রাখা হলেও যাত্রী ওঠা-নামা কাজটি হচ্ছে টার্মিনালের বাইরের সড়কে। ফলে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে সেখানে যানজট দেখা দিচ্ছে। বাস টার্মিনালের সামনের সড়কের ওপর জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাসের মেরামত কাজ চলছিল। বাসটির চালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘টার্মিনালের ভিতর কাদায় দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। সেখানে গাড়ির নিচে শুয়ে মেকানিক কাজ করবেন কীভাবে? বাধ্য হয়েই সড়কে কাজ করাতে হয়।’ টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গাড়ি রেখে যাত্রী তুলছিল জাহিদ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস। বাসের চালক মো. সুইট বলেন, ভিতরে যাত্রী কাদা-পানির ভিতরে গিয়ে গাড়িতে উঠবেন না। তাই তিনিও বাধ্য হয়ে রাস্তায় এসে যাত্রী তুলছেন। হেলপার আবদুল হালিম বলেন, শুধু যে বর্ষাকালে কাদাপানি তা নয়, সারা বছরই এ রকম বেহাল দশা থাকে টার্মিনালের। তিনি জানান, এখন বৃষ্টির পানি জমে কাদা হয়েছে।

কিন্তু অন্য সময় গাড়ি ধোয়া-মোছার পানি জমা হয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ রকম খারাপ অবস্থা। হালিম আরও বলেন, টার্মিনালের ভিতর অনেক আগে বিছানো ইটগুলোও কোথাও কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার কাজও হয়নি। সে কারণে টার্মিনালের এই বেহাল দশা। রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, টার্মিনালের ভিতরেও গর্তে পড়ে অনেক সময় গাড়ির পাতি ভেঙে যায়। আমরা বার বার আরডিএ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি কর্ণপাত করেন না। ফলে রাস্তাতেই মেরামত এবং যাত্রী ওঠানামার কাজ করতে হয়।

সর্বশেষ খবর