মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহীর দুঃখ ভদ্রা সড়ক

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীর দুঃখ ভদ্রা সড়ক

রাজশাহী নগরীর ভদ্রা (স্মৃতি অম্লান) থেকে নওদাপাড়া আন্তবিভাগ বাসটার্মিনাল মাত্র ৪ কিলোমিটার সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পুরো সড়ক খানাখন্দে ভরা। এ সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে উত্তরাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের বাস। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন বলছে, এ সড়কে চলাচলকারীদের দুঃখ ঘুচাতে সংস্কার হচ্ছে ভাঙাচোরা সড়কটি।

এক যুগ আগে রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ভিতরে সড়কটি নির্মাণ করেছিল রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় কয়েক বছরে সড়কটি খানাখন্দে ভরে যায়। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) জানায়, তারা কেবল সড়ক নির্মাণ করে। রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ তাদের নেই। সড়কটি দেখাশোনা করার কথা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক)। কিন্তু এক দশকেও সেটি করেনি নগর কর্তৃপক্ষ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল হয়েছে সড়কটি। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কাদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। এর ভিতরেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, রাস্তাটিতে রিকশা-অটোরিকশা যেতে চায় না। যারা যেতে চান, তারা বাড়তি ভাড়া হাঁকেন।

পাঁচ বছর ধরে রাজশাহী-সিরাজগঞ্জ রুটে বাস চালাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, শুরু থেকেই দেখছি রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দিনে অন্তত দুই-তিনটি গাড়ি নষ্ট হয়। মাঝে মধ্যেই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। কেবল বাসই নয়, সড়কে চলাচলকারী অন্য যানবাহনের চালকদেরও নিত্যদিনের সঙ্গী ভোগান্তি।

আরডিএ জানায়, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর তারা রাস্তাটি রাসিকের কাছে হস্তান্তর করেছে। আট মাস পর ৩ আগস্ট রাসিক রাস্তাটির সীমানা চিহ্নিত করতে সার্ভেয়ার চেয়েছিল। সেটিও দেওয়া হয়েছে। এখন তারা রাস্তাটির সম্প্রসারণের কাজ শুরু করবে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক নূর ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রাস্তায় কিছু গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি আছে। সেগুলো সরানো হলে দ্রুতই শুরু হবে রাস্তার কাজ। তিনি বলেন, এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। ফুটপাথের জন্য ব্যয় হবে আরও ১৪ কোটি টাকা। অধিগ্রহণ করা ৮০ ফুট জায়গা আছে রাস্তার। পুরো জায়গার দুই পাশে ৬ ফুট করে ১২ ফুট ফুটপাথ হবে। ১০ ফুট থাকবে সাইকেলের লেন। দুই পাশে চার লেনের রাস্তা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর