মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশপ্রেমের দ্যুতি ছড়াবে স্মৃতিসৌধ

স্বাধীনতার ঘোষণাও আসে চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামে আছে স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক স্মৃতিস্মারক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

দেশপ্রেমের দ্যুতি ছড়াবে স্মৃতিসৌধ

দেশে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডীন হয়েছে ৫০ বছর পার হলো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার খ্যাত চট্টগ্রামে নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ বা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তবে এবার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ এবং জাদুঘর। চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলি এলাকায় নির্মিত হচ্ছে এটি। ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে প্রস্তাবিত নকশা। এটি নির্মিত হলে দেশপ্রেমের দ্যুতি ছড়াবে। উজ্জীবিত হবে স্বাধীনতার চেতনাবোধ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন স্মৃতিসৌধ নির্মাণটি তদারকি করছে। গত ২৮ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ এবং জাদুঘর নির্মাণে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণে নগরীর উত্তর কাট্টলি ও মোহরার হামিদচরসহ একাধিক জায়গার প্রস্তাবনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে উত্তর কাট্টলি মৌজার প্রায় ১০ একর সরকারি খাস জমিতে স্মৃতিসৌধের জায়গাটি নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উত্তর কাট্টলি মৌজায় ‘চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর’ নির্মাণের নির্ধারিত স্থান’ উল্লেখ করে সাইনবোর্ডও দেওয়া হয়।  

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চট্টগ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মিত না হওয়াটা দুঃখজনক। তবে এবার আমরা স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে নগরের উত্তর কাট্টলি মৌজার নির্ধারিত স্থানকে কেন্দ্র করে দক্ষ আর্টিটেক্ট দিয়ে প্রস্তাবিত নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন। এর পরই চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ শুরু হবে।’     

চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠ থেকে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। স্বাধীনতার ঘোষণাও আসে চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামে আছে স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক স্মৃতিস্মারক। চট্টগ্রামকে স্বাধীনতা-সংগ্রামের সূতিকাগার বলা হয়। তবুও চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, গণকবর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর