মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

হাইটেক পার্কে হচ্ছে সিনেপ্লেক্স

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

হাইটেক পার্কে হচ্ছে সিনেপ্লেক্স

রাজশাহী শহরে কোনো সিনেমা হল নেই। সবশেষ ‘উপহার’ সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা হয়েছে দুই বছর আগে। সিনেমার প্রতি আক্ষেপ দেখাতে এবার দুর্গোৎসবে শহরের একটি পূজামন্ডপ সাজানো হয়েছিল সিনেমা হলের আদলে। দাবি জানানো হয়েছে, সিনেমা হল স্থাপনের। সিনেমার প্রতি নগরবাসীর টান বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পে একটি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স স্থাপনের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।

হাইটেক পার্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন প্রায় ১৪ হাজার কর্মী। তারাও বিনোদনের জন্য যাবেন সিনেপ্লেক্সে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষও যেতে পারবেন সেখানে। এই সিনেপ্লেক্সসহ আরও কিছু কাজ যুক্ত হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের নতুন সংযোজনের ডিপিপিও পাস হয়েছে। এখন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দিলেই নতুন কাজগুলো শুরু করতে পারবে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহীতে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ এবং কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। শহরের পশ্চিম প্রান্তে নবীনগর মৌজায় ৩১ একর জমির ওপর এই হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ছিল ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। পরে দুই দফা মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়ে ৩৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম ফজলুল হক বলেন, সিনেপ্লেক্সসহ আরও বেশ কিছু বিষয় যুক্ত করে আমরা পরিকল্পনা কমিশনে দিয়েছিলাম। সেখানে ডিপিপি পাস হয়েছে। এখন আইসিটি মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দিলেই আমরা নতুন কাজগুলো শুরু করতে পারব। হাইটেক পার্কের প্রধান দুই অংশের মধ্যে ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’-এর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ১০টি প্রতিষ্ঠান স্পেস বরাদ্দ নিয়ে কাজও শুরু করেছে। ‘সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন টাওয়ার’-এর নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। সব মিলিয়ে এখন প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর