রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মৎস্য আড়তের বেহালদশা। ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনকেই কাদাপানি মাড়িয়ে বেচা-কেনা করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে আড়তটি চললেও স্থায়ী কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। নেই কোনো ল্যাট্রিন। অন্যদিকে ইজারাদার বলছেন, আড়তের ব্যবসায়ীরা টোল না দেওয়ায় উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে রাতে আড়তকে ঘিরে চলে মাদকের জমজমাট আড্ডা। আড়তে কমপক্ষে ৭০টি মাছের পাইকারি ব্যবসায়ী রয়েছেন। রংপুর নগরীসহ আশপাশ এলাকা থেকে প্রতিদিন আড়াই থেকে ৩ হাজার ক্রেতা আসেন এখানে মাছ কিনতে। বেচাবিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণা থাকলেও পদে পদে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিক্রেতারা প্রায় সারা দিনই পানিতে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করছেন। ফলে অনেকের পায়ে ঘা হয়েছে।
রংপুর অঞ্চলের মধ্যে এই আড়তটি সর্ববৃহৎ। এটি সিটি করপোরেশন ইজারা মাধ্যমে পরিচালনা করছেন। ইজারায় লাখ লাখ টাকা নেওয়া হলেও আড়তটির কোনো উন্নয়ন নেই। স্থায়ী কোনো অবকাঠোমো গড়ে না ওঠায় রাতে আড়তকে ঘিরে মাদকের আড্ডা জমে ওঠে বলে স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করেন।
মৎস্য আড়ত সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, ১৯৯৫ সালে মৎস্য আড়তটি স্থাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে কোনো উন্নয়ন নেই। অথচ প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা ৫০ টাকা এবং মাছ ক্রেতারা প্রতি মণ মাছে ২০ টাকা হারে টোল দিচ্ছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিটি করপোরেশন এই আড়তটি ইজারা দিয়ে প্রতিবছর কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা আয় করছেন। অথচ কোনো উন্নয়ন নেই।এ প্রসঙ্গে আড়তের ইজারাদার শাহিন হোসেন জাকির বলেন, আমি প্রায় ২৯ লাখ টাকা দিয়ে আড়তটি ইজারা নিয়েছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা টোল দিচ্ছেন না। ফলে আমার লাখ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। এই কারণেই হাটের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।