মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ধুলোবালি পরিষ্কারে সড়কে পানি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ধুলোবালি পরিষ্কারে সড়কে পানি

চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোতে প্রতিনিয়তই উড়ছে ধুলোবালি। বাতাস এবং যানবাহনের সঙ্গে ওড়ে ধুলো। আছে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির ধুলোবালি। ফলে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ এ ধুলায়। তাছাড়া সড়কের পাশের দোকানের ব্যবসায়ীদেরও সহ্য করতে হয় অসহনীয় যন্ত্রণা। ফলে ধুলোবালির মধ্যেই দিনাতিপাত করতে হয় তাদের। বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।  

তবে এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের সড়কগুলোতে ধুলোবালি রোধে পানি ছিটানো ও পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। নগরের বিভিন্ন সড়কে ধুলোবালি ঠেকাতে নতুন এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। প্রথম ধাপে গত ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত নগরের ১৮টি সড়কে পানি ছিটানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে নগরের সব সড়কে পানি ছিটানো ও পরিষ্কার করা হবে। চলবে আগামী মার্চ পর্যন্ত। চসিকের তিনটি সুইপিং মেশিন ও তিনটি পানির ভাউজার দিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চসিকের আছে একটি ১৪ হাজার লিটার, একটি ১২ হাজার লিটার ও একটি ৪ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার পানির ভাউজার।    

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুম। এ মৌসুমে সড়কে ধুলোবালি বেশি ওড়ে। তাই নগরের ধুলোবালি পরিষ্কার করতে তিনটি সুইপ মেশিন ও তিনটি পানির ভাউজার মেশিন নামানো হয়েছে। প্রতিদিনই এগুলো নির্দিষ্ট সড়ক পরিষ্কার ও পানি ছিটাচ্ছে। গতকাল নগরের কাতালগঞ্জ-মুরাদপুর হয়ে আকবর শাহ রেল গেট হয়ে পানি ছিটানো ও পরিষ্কার করা হয়েছে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত সব সড়কে এ কর্মসূচি চলবে। 

চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়াই স্যাবের প্রেসিডেন্ট ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, সড়কে ধুলোবালির কারণে শিশু, বৃদ্ধসহ প্রায় সব বয়সী মানুষের চোখের প্রদাহ, নাকের অ্যালার্জির, সর্দি, কাশি, যক্ষ্মা ও শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সঙ্গে আছে দীর্ঘমেয়াদি চর্মরোগ ও কিডনি জটিলতার শঙ্কা। অনেক সময় ধুলোবালির সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও জীবাণু শরীরের ভিতর প্রবেশ করে তা রক্তের সঙ্গে মিশে নানা ধরনের ক্যান্সার রোগ তৈরি করে। তাই সড়কে চলাচলের সময় ধুলোবালি থেকে বেঁচে থাকা উচিত। না হয় এ জাতীয় স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জানা যায়, বর্তমানে নগরে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুম হওয়াতে সড়কে উড়ছে ধুলোবালি। এ কারণে সড়ক দিয়ে চলাচল করাও দায় হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, নগরের যত্রতত্র ইট, বালু, সিমেন্টসহ নানা নির্মাণ সামগ্রী সড়কে ফেলে রাখা হয়। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর ধূলিকণা। ধুলোর কারণে তৈরি হচ্ছে চরম মাত্রার স্বাস্থ্যঝুঁকি। বর্তমানে নগরের প্রধান সড়ক কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সড়কের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। পুরো প্রকল্প এলাকায় উড়ছে ধুলোবালি। যানবাহন চলাচল করার সময় বাতাসে ধুলোবালিতে সড়কজুড়ে অনেকটা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের মতোই অবস্থা তৈরি হয়। এর সঙ্গে আছে যানবাহনের দূষিত কালো ধোঁয়া।

সর্বশেষ খবর