মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সংযোগ সড়ক আটকে জনদুর্ভোগ

রাহাত খান, বরিশাল

সংযোগ সড়ক আটকে জনদুর্ভোগ

সদর রোড ও গির্জামহল্লা রোডের এই সংযোগ সড়কে আকস্মিক যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা

বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় হঠাৎ করে একটি সড়কে যানবাহন চলাচল আটকে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগ এই সড়কে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ভবন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযোগ কেন্দ্র, তার ও টেলিফোন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবন, রিপোটার্স ইউনিটি কার্যালয়সহ অনেক ভাসমান দোকান রয়েছে। সড়কটি আটকে দেওয়ায় জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে। ওই সড়কে গাড়ির অবৈধ পার্কিং বন্ধসহ জনগণের চলাচলের সুবিধার্থেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের সোহেল চত্বর থেকে বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাশ হয়ে সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবন, জজকোর্ট, তার ও টেলিফোন বোর্ডের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের পাশ ঘেঁষে সংযোগ সড়কটি মিশেছে হেমায়েত উদ্দিন (গির্জামহল্লা) রোডের সঙ্গে। গির্জামহল্লা সড়কটি শুরু হয়েছে সদর রোড থেকে। সদর রোড এবং গির্জামহল্লা রোড দুটি অনেক ব্যস্ত হওয়ায় এই সংযোগ সড়ক হয়ে চলাচল করত হালকা যান, থ্রি হুইলার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলসহ ছোট ছোট যান। পায়ে হেঁটেও চলাচল করে অনেকে। সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবন এবং বিদ্যুৎ সেবাকেন্দ্রে সারা দিন শত শত মানুষের যাতায়াত। রয়েছে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন হীরণ স্কয়ার নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ ওই সড়কটি আটকে দেয় সিটি করপোরেশন। সড়কের সদর রোড প্রান্তে এবং গির্জামহল্লা সংযোগের স্থানে সিমেন্টের পিলার এবং লোহার পাইপ দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পায়ে হাঁটা পথচারী এবং বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী ছাড়া প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, থ্রি হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন ওই সড়কে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্ট ও বিশেষ রাজনৈতিক দলের বড় নেতাদের গাড়ি ছাড়া অন্য কেউ হালকা যান নিয়ে চলতে পারেন না ওই সড়কে। বিষয়টি নজরদারির জন্য ওই সড়কের দুই প্রান্তে আটকে দেওয়া স্থানে পাহারাও বসিয়েছে সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, ওই সড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে জনগণের চলাচলে সমস্যা হতো। এ কারণে গত ১৫ দিন আগে কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে ওই সড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ওই সড়কের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে পায়ে হাঁটা পথচারী, বাইসাইকেল এবং মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সংযোগ সড়কটিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় জনগণের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, বরং সেখানে লোকে লোকারণ্য থাকে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর