চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়। কার্যালয়ের সামনে মুক্ত আঙিনায় চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন। ভূমির জটিলতা নিয়ে আসছেন ভুক্তভোগীরা।

মুহূর্তেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শনপূর্বক সমাধান করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা কিংবা দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মুক্ত আঙিনায় বসে সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা সরাসরি শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হচ্ছে। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে অফিসের আঙিনায় বসে সেবা দেওয়ার এ কর্মসূচি শুরু হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের নির্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসা সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ঠেকাতে অফিসের বাইরে উন্মুক্ত আঙিনায় অফিস শুরু করেছেন তিনি। 

পটিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন বলেন, ‘ভূমি অফিসে এসে কেউ যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন, সে লক্ষ্যে প্রতিদিন সকাল কিংবা বিকালে অফিসের বাইরে ৩-৪ ঘণ্টা বসে সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আরও কাছে এসে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জনকে সেবা দেওয়া হয়। গত রবিবার এক দিনেই তিনজন সেবাপ্রত্যাশীর নথি অনুমোদন করে হাতে হাতে খতিয়ান তুলে দেওয়া, ৩৫টি নতুন খতিয়ান অনুমোদন করে সেবাপ্রত্যাশীর কাছে হস্তান্তর করা, ১১টি নামজারি নথি অনুমোদন এবং একই সঙ্গে ১৩ জন সেবাপ্রত্যাশীর জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার আবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ 

প্রতিদিন অসংখ্য সেবাপ্রত্যাশী বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে জমির নানা সমস্যা নিয়ে ভূমি অফিসে আসেন। কিন্তু ভূমি অফিসে বাইরের আঙিনায় প্রতিনিয়ত নানা শ্রেণির দালাল ঘুরে বেড়ায়। হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীদের। সঙ্গে ব্যয় হয় সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা। অফিসের বাইরে বসে অফিস শুরু করার কারণে দালালদের আনাগোনা কমবে বলে আশা ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষের।