রাজশাহীতে আবারও শুরু হয়েছে অবৈধ দখল। মাঝে ফুটপাথ থেকে সব ধরনের ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়ার পর থেকেই ফুটপাথগুলো ফের দখল হওয়া শুরু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের রাস্তার দুই পাশে আগের মতো ফুটপাথ দখল করে ব্যবসায়ীরা বসে পড়েছেন। শহরের অন্য এলাকার ফুটপাথও আবার দখল হতে শুরু করেছে।

নগরীর সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, ফুটপাথের ওপরে একজন হোটেল ব্যবসায়ী দোকান খুলেছেন। তিনি শুধু ফুটপাথ দখল করেছেন তাই নয়, চুলা জ্বেলে রীতিমতো হোটেলের সব রান্নাবান্না সেরে নিচ্ছেন। সকাল হলেই সড়কজুড়ে বসছে বাজার। সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে সোনাদীঘির মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাথ দখল করে আবারও দোকানদাররা বসিয়েছেন পণ্যের পসরা।

নগরীর দুই পাশের ফুটপাথ তো বটেই, রাস্তা পর্যন্ত দখল করে ছোট ছোট ইউনিটের দোকানপাট বসে। ফুটপাথজুড়ে আছে কাপড়ের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, চা দোকান, ফলের পসরা। ফুটপাথ দখল করে নির্মিত হচ্ছে আসবাবপত্র, মেরামত হচ্ছে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল, বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও ডিজেলের মতো দাহ্য পদার্থ। চেয়ার, সোফা, র‌্যাক- কী নেই ফুটপাথে? কোথাও কোথাও ফুটপাথের ওপর হাল্কা যানবাহন যেমন- অটোবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেল কিংবা রিকশা পার্কিং করা থাকে। কোথাও কোথাও সম্পূর্ণ ফুটপাথ দখল করা হয়েছে, কোথাও ৫০ থেকে ৮০ ভাগ পর্যন্ত অবৈধ দখলে। ফুটপাথের ওপরই বেঞ্চ বসিয়ে দোকান চলছে।

মাঝারি পুঁজির ব্যবসায়ী যারা আছেন তারাও ফুটপাথ দখল করে তাদের পণ্য সাজিয়ে রাখছেন। সবচেয়ে ঝুঁকির বিষয় হলো, ফুটপাথের অর্ধেক দখল করেই গরম তেলে ভাজা হচ্ছে পুরি-শিঙাড়া ইত্যাদি। সামান্য খালি স্থান দিয়েই চলাচল করছেন পথচারীরা। ফুটপাথের ওপরই চলছে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। পথচারীদের অসুবিধা মোটেও তোয়াক্কা করা হয় না।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, পরিকল্পিত নগরী গড়তে মানুষের হাঁটার পথ থাকতে হবে। কিন্তু কিছু মানুষের কারণে ফুটপাথ থাকছে না। এগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু তারা আবার দখল শুরু করেছেন। এ দখল উচ্ছেদে আবার অভিযান শুরু হবে।