মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্থবির টঙ্গী নদীবন্দর

বন্দরের আওতায় তিনটি ইজারা ঘাট রয়েছে তা থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে

আফজাল, টঙ্গী

স্থবির টঙ্গী নদীবন্দর

ডেমরা চনপাড়া ব্রিজ ও তুরাগ ধউর ব্রিজ। কম উচ্চতার এ দুই ব্রিজের কারণে টঙ্গী নদীবন্দর কার্যত অচল। তুরাগ ও বালু নদের ওপর নির্মিত কয়েকটি ব্রিজ হাই-ওয়াটার লেভেল থেকে উচ্চতা কম হওয়ায় নৌযান চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত টঙ্গী নদীবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। টঙ্গী নদীবন্দরের আওতাধীন ছয়টি ব্রিজের মধ্যে টঙ্গী বন্দরের প্রবেশ মুখ ডেমরা চনপাড়া ও তুরাগ ধউর ব্রিজ উল্লেখযোগ্য।

সরেজমিন জানা যায়, ১৯৯১ সালে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালু নদের ওপর ডেমড়া-চনপাড়া এলাকায় এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট, প্রস্থ ১২ ফুট।  রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের সুবিধার্থে বালু নদের ওপর ডেমড়া-কালিগঞ্জ সড়কের চনপাড়া এলাকায় নির্মিত হয় এ ব্রিজটি। অপরদিকে তুরাগ থানা এলাকায় ধউর ব্রিজ অবস্থিত। এ ছাড়া প্রত্যাশা ব্রিজ, টঙ্গী সড়ক ব্রিজ, টঙ্গী রেল ব্রিজ, তেরমুখ ব্রিজের উচ্চতা কম। নিয়ম রয়েছে, হাই-ওয়াটার লেভেল থেকে প্রথম শ্রেণির ব্রিজের উচ্চতা থাকবে ১৮.৩০ মিটার, দ্বিতীয় শ্রেণির ১২.২০ মিটার, তৃতীয় শ্রেণির ৭.৬২ মিটার ও চতুর্থ শ্রেণির ৫.০০ মিটার। সে হিসেবে দ্বিতীয় শ্রেণির তুরাগ ও বালু নদের ওপর নির্মিত ব্রিজে উচ্চতা থাকার কথা ১২.২০ মিটার। অথচ নির্মাণের সময় তা মানা হয়নি। যে কারণে নৌপথে মালবাহী নৌযান চলাচল করতে পারছে না। ফলে টঙ্গী নদীবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত। এসব ব্রিজ দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের পরেই টঙ্গী নদীবন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করত এবং বছরে কোটি কোটি রাজস্ব আয় হতো।

টঙ্গী মধুমিতা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৪ সালে টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে টঙ্গী নদীবন্দর। অথচ পানির হাই-লেভেল থেকে ব্রিজের উচ্চতা কম ও নদের নাব্য না থাকায় এ পথে নৌযান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে টঙ্গী নদীবন্দরের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে টঙ্গী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, তুরাগ ও বালু নদের ওপর নির্মিত কয়েকটি ব্রিজের উচ্চতা হাই-ওয়াটার লেভেল থেকে কম থাকায় নৌযান চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কোটি কোটি টাকা দিয়ে নির্মিত টঙ্গী নদীবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গী নদীবন্দরকে স্বতন্ত্র নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ বন্দরের আওতায় তিনটি ইজারা ঘাট রয়েছে, তা থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর