বরিশালের শতবর্ষী অশ্বিনী কুমার হল সংস্কার করা হচ্ছে। ভবনটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হওয়ায় এর প্রত্নতত্ত্ব দিক অক্ষত রেখে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। দীর্ঘদিনের অবহেলিত অশ্বিনী কুমার হল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি নগরীর রাজনৈতিক-সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সভা-সমাবেশ করার জন্য ১৯২১ সালে নগরীর সদর রোডে দেড় বিঘা জমির ওপর অশ্বিনী কুমার হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অশ্বিনী কুমার দত্ত। ১৯৩০ সালে দুই তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়। হলের নামকরণ করা হয় অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে। এরপর হলের দায়িত্ব ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এই হলের দেখভালের দায়িত্বে বরিশাল সিটি করপোরেশন। কিন্তু শতবর্তী এই হলটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ এবং ব্যবহার অনুপযোগী। স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও সুধী মহলের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই হলটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন।
সংস্কৃতিজন কাজল ঘোষ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশের অনেক খ্যাতনামা নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এই হলে সভা-সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন। এটা আমাদের বড় ঐতিহ্য। হলটি সংস্কার করা হলে আবারও রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে মুখরিত হবে অশ্বিনী কুমার হল।’বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ শাজেদা বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও রাজনীতি চর্চার মূল কেন্দ্র অশ্বিনী কুমার হল। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় বরিশালবাসীর কাছে এই হলটি ‘টাউন হল’ নামেও পরিচিতি রয়েছে। হলটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় অনেক অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্থপতি বিভাগের মো. হাসিব বলেন, ‘অশি^নী কুমার হল পুরাতন হওয়ায় এখানে কোনো অনুষ্ঠান পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। পুরনো আদলে পলেস্তারা করা হবে। নাজুক ছাদ ভেঙে সংস্কার করা হচ্ছে। সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, অশ্বিনী কুমার হল সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রকল্প পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় হল সংস্কার করা হচ্ছে।