শীত গিয়ে কেবলই এসেছে ফাগুন। তবু প্রকৃতি জুড়ে এখনো শীতের শুষ্কতা। খাল, বিল, মাঠ-ঘাট শুকিয়ে চৌচির। কিন্তু এর মাঝেও জল থই থই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখা। কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুরে কলেজের ডিগ্রি শাখার অবস্থান। প্রায় সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে ডিগ্রি শাখার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ভবন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিজ্ঞান ভবন-২, মিলিনিয়াম ভবন ও লাইব্রেরি ভবনের নিচতলা জলাবদ্ধ। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ভবনগুলোর নিচতলা। জলাবদ্ধ ও স্যাঁতসেঁতে হওয়ায় নিচতলা হয়ে ওপরে উঠতে বিড়ম্বনায় পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ভবন তিনটির পাশেই রয়েছে একটি গভীর পুকুর। পুকুরের উত্তর দিকে ছাত্রীদের আবাসিক হল, দক্ষিণ দিকে খেলার মাঠ ও পরিত্যক্ত ডোবা, পূর্বে রেললাইন লাগোয়া কিছু টিনশেড ভবন আর পশ্চিমে এ তিনটি ভবন। অন্য তিন দিকের চেয়ে পশ্চিম দিক কিছুটা নিচু। কলেজের অন্যান্য অংশ উঁচু করা হলেও এ অংশটি উঁচু করা হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই পূর্বদিকে। এর ফলে বৃষ্টি হলেই হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি ঢুকে পড়ে ভবনগুলোতে।
গণিত বিভাগ মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী শাখওয়াত হোসেন জানান, ‘গত পাঁচ বছর একই দৃশ্য দেখে আসছি। বৃষ্টি হলেই আমাদের ভবনটির নিচের অংশ ডুবে যায়। এর সংস্কার চাই।’ দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোজাম্মেল হক জানান, ‘সারা বছর এ ভবনটিতে জলাবদ্ধতা থাকে। লাইব্রেরিতে বই পড়তে গেলেও খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। সামনের মাঠের জায়গা ঝোপের মতো হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করে উঁচু করা দরকার।’কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথাটি অনুধাবন করেছি। ভবনগুলোর মেঝে উঁচুকরণের কাজ হাতে নেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন ভবনগুলোর মেঝে ২ ফুট উঁচু করে দেবেন।’ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আলী ইমাম জানান, ‘ভিক্টোরিয়া কলেজের উন্নয়নে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে জলাবদ্ধতাসহ কলেজের সব সমস্যা দূরীভূত হবে।’