মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

শহরের দুঃখ ২২ রেলক্রসিং

রেলক্রসিং দিয়ে বিভিন্ন রুটে ৫৮ বার ট্রেনের যাওয়া আসার সময় থামাতে হয় যানবাহন

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

শহরের দুঃখ ২২ রেলক্রসিং

প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো শহর ময়মনসিংহ। পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর শহরটিতে জনসমাগম বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু পুরনো এই নগরীতে আগের মতোই আছে রাস্তাঘাট। শুধু সিটি এলাকাতেই রয়েছে ২২টি রেলক্রসিং। প্রতিবার ট্রেন চলাচলের সময় এসব রেলক্রসিংয়ে ৫-১৫ মিনিট আটকা পড়তে হয় নগরবাসীকে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর সানকিপাড়া, সি কে ঘোষ রোড, সাহেব আলী রোড, পাটগুদাম, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ২২টি রেলক্রসিং রয়েছে। এসব রেলক্রসিং দিয়ে বিভিন্ন রুটে ৫৮ বার ট্রেনের যাওয়া আসার সময় থামাতে হয় যানবাহন। যেখানে প্রতিবার সময় ব্যয় হয় ৭-১০ মিনিট। সে হিসেবে প্রতিদিন ২২ স্থানে অন্তত ৭ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় রেলক্রসিংয়ের যানজটে।

জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ রেলপথ দিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা, জামালপুর, ভৈরব ও নেত্রকোনা রুটের বিভিন্ন গন্তব্যে ২৪ ঘণ্টায় সাত জোড়া আন্তনগর ট্রেনসহ ২৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেন চলাচলের সময় শহরে লেভেল ক্রসিংয়ে আটকা পড়ে যানবাহন, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। নগরীতে সরু সড়ক ও লেভেল ক্রসিংয়ের বিষয়টিই যানজটের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে বলছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামানও।

তিনি বলেন, ‘যানজটের বড় কারণ হচ্ছে নগরীর ভিতর থাকা রেলক্রসিং। রেল ক্রসিং থেকে সৃষ্ট জ্যাম পরে পুরো নগরীতেই ছড়িয়ে পড়ে।’ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘এ রেললাইন স্থানান্তরের জন্য আমরা কয়েক বছর আগেই প্রস্তাব করেছি। রেললাইন স্থানান্তর করা সম্ভব হলে ৭০ ভাগ যানজট নিরসন হবে।’ সম্প্রতি ময়মনসিংহ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, নগরীর মাঝখান দিয়ে রেলপথ চলে যাওয়া ময়মনসিংহবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর