মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে উত্তরা

উত্তরার মূল রাস্তাগুলো থেকে সম্প্রতি হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বদলে যাচ্ছে উত্তরা

ছবি : রাশেদুর রহমান

রাজধানীর পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা উত্তরা মডেল টাউন ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। মূল সড়কগুলো থেকে হকার অপসারণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করা হয়েছে। এভিনিউ সড়কগুলো দখলমুক্ত হওয়ায় আগের তুলনায় যানজটের ভোগান্তি কমেছে। সবকটি সেক্টরে এলইডি লাইট লাগানোর কারণে রাতের অপরাধও কমে এসেছে। 

উত্তরা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান বলেন, উত্তরার মানুষ তাদের থাকা এবং চলাফেরার পরিবেশটা সুন্দর দেখতে চায়। আমরা সেই পরিবেশটা রক্ষা করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা অপরিকল্পিতভাবে বেশকিছু রাস্তা কেটে ফেলেছে। এ জন্য আমাদের বাসিন্দাদের ভুগতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের সব সেক্টরে এখনো সিসি ক্যামেরা নেই। এটা আমরা বাস্তবায়ন করব। সবগুলো কল্যাণ সমিতির সঙ্গে বসে আমরা প্রতিটি সেক্টরে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেব। তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। অপরাধীরা ধরা পড়ে গেলে অপরাধ কমে আসবে। সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুরো উত্তরাকে নজরদারির মধ্যে আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা জাইকার অর্থায়নে পুরো ওয়ার্ডে এলইডি লাইট লাগিয়ে দিয়েছি। এতে সড়কগুলো রাতেও দিনের আলোর মতোই উজ্জ্বল থাকছে। 

আফছার উদ্দিন খান বলেন, আমার এলাকার রাস্তাঘাটের প্রায় ৯০ শতাংশের উন্নয়ন কাজ হয়েছে। রাস্তা এখন অনেক প্রশস্ত এবং পরিচ্ছন্ন। আমাদের মেয়র সাহেব চাচ্ছেন এই শহরটা সুন্দর থাকুক। মেয়র তো আমাদের ওয়ার্ডেই থাকেন। তিনি চাচ্ছেন, আমিও চাই আমাদের এলাকাটা নাগরিক সুবিধার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকুক। তাই আমি ১ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর সেক্টর পর্যন্ত অনেক কাজ করেছি। যদিও আমার ওয়ার্ড ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত। ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, মশা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা রয়েছে। ড্রেনগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে মশার বিস্তার হচ্ছে। এখন বড় সমস্যা হচ্ছে লেক। করোনা না হলে এতদিনে লেকের কাজ হয়ে যেত। তিন ভাগের এক ভাগ কাজ হয়েছে। বাকিটাও হয়ে যাবে। লেকটা পরিচ্ছন্ন থাকলে মশার উপদ্রব কমে যায়।

উল্লেখ্য, উত্তরার মূল রাস্তাগুলো থেকে সম্প্রতি হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট কমেছে। রাস্তাটা নিরাপদ থাকছে। এ প্রসঙ্গে আফছার উদ্দিন খান বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের পুলিশের ডিসি (উপ-কমিশনার) সাহেবের চেষ্টায়। তিনি এই উদ্যোগটা নিয়েছেন। আমরা চাই এটা বহাল থাকুক। হকাররা যেন এভিনিউ রাস্তা, ফুটপাথগুলো দখল করতে না পারে। সোনারগাঁও জনপদ, জসীমউদ্দীন রোড, রবীন্দ্র সরণিতে আমরা ডিভাইডারগুলো গ্রিল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, আমি গত অক্টোবরে উত্তরায় জয়েন করেই নভেম্বর থেকে হকারমুক্ত মেইন রোড বাস্তবায়নের অভিযান শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, উত্তরার মানুষ এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। তবে এখন রাস্তার কাজের কারণে কিছু যানজট হচ্ছে। এটাও কমে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর