মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

টমছম ব্রিজের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই!

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

টমছম ব্রিজের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই!

কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ মোড়। সড়কে খানাখন্দ, বাজার। এখানে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। পাশের চার জেলা ও দক্ষিণ কুমিল্লার সাত উপজেলার মানুষের নগরীতে প্রবেশের একমাত্র পথ টমছম ব্রিজ মোড়। নগরীর প্রধান প্রবেশ পথে মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে উঠেছে। অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, বাস, বাঁশ প্রবেশে নেই শৃঙ্খলা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মোড়ের সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ। ইপিজেড রোড উঁচু। গাড়ি উঠতে সময় নিচ্ছে। মোড়ের মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড। সারা দিন থেমে থেমে যানজট। তার উপরে জাঙ্গালিয়া টার্মিনালের বাস টমছম ব্রিজের কাছে এনে ঘুরানো হচ্ছে। গরম ও বিকট হর্নের কবলে পড়ে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠছে।

টমছম ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ূন কবীর মাসউদ বলেন, যানবাহন বেড়েছে, মানুষ বেড়েছে। পরিকল্পিতভাবে সড়কটি বড় করা দরকার। স্থায়ীভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাসহ ট্রাফিক বিভাগে জনবল বাড়ানো দরকার।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, টমছম ব্রিজের এ সমস্যার কারণে অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর ভোগান্তি হয়। চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট সবার সময় নষ্ট হয়। ইদানীং মেডিকেল রোডে বড় ট্রাকের প্রবেশ বেড়েছে। যার কারণ রড, সিমেন্টের দোকান বাড়ছে। সময় থাকতে এসব নিয়ে ভাবতে হবে।

কুমিল্লার ট্রাফিক ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, টমছম ব্রিজে এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চারজন করে আটজন পুলিশ ডিউটি করেন। মূল সমস্যা হলো সড়ক। সড়ক সংস্কার করতে হবে। মিড আইল্যান্ড করতে হবে। কাঁচাবাজার ও অবৈধ স্থাপনা স্থায়ী উচ্ছেদ করতে হবে। যেহেতু এখানে চারটি সড়ক, মাঝে গোল চত্বর  তৈরি করে দেওয়া খুবই জরুরি।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে সাময়িক যে সমস্যা হচ্ছে তা সমাধান হবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, টমছম ব্রিজ মোড়ের সড়ক সংস্কার কাজ আমরা দ্রুত শুরু করব। এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। চারটি সড়কের দুই পাশে যদি আটজন পুলিশ সততার সঙ্গে ডিউটি করেন তবে সমস্যার সমাধান হবে।

সর্বশেষ খবর