মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃষ্টিতে বেড়ে যায় মশার উৎপাত

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বৃষ্টিতে বেড়ে যায় মশার উৎপাত

বর্ষাকালে কখনো থেমে থেমে, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। কিন্তু পানি নেমে যাওয়ার পর জমে থাকা সামান্য পানিতেও বংশ বিস্তার করে মশা। বৃষ্টির কারণে বেড়ে যায় মশার উৎপাত। সঙ্গে আছে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপের শঙ্কা। নগরে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে চট্টগ্রাম সিটি  করপোরেশন (চসিক)। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর ওষুধের অভাব, যথাসময়ে ওষুধ প্রয়োগ না করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ে জেঁকে বসতে পারে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। অভিযোগ আছে, নগরের কোন এলাকায় বছরের কোন সময় মশার ঘনত্ব বেশি থাকে তা জানা বা অনুসন্ধানের জন্য গবেষণার কথা থাকলেও নিয়মিতভাবে সে রকম কোনো গবেষণা হয় না। ফলে মশা নিযন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার আশানুরূপ সুফল মিলে না। অপচয় হয় সরকারি অর্থের। নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও কমে না মশার উৎপাত। 

চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরে মশা নিধনে অ্যাডাল্টিসাইড (পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ), লার্ভিসাইড (মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ) এবং লাইট ডিজেল অয়েল (এলডিও) বা কালো তেল ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে চসিকের কাছে মশক নিধনে ১ হাজার ৬০০ লিটার অ্যাডাল্টিসাইড, ৩ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ও পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইট ডিজেল অয়েল বা কালো তেল আছে। তাছাড়া, এক বছরের জন্য আরও ৪০ হাজার লিটার অ্যাডাল্টিসাইড ওষুধ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতি ওয়ার্ডে চারজন করে স্প্রে ম্যান ও ফগিং মেশিন নিয়ে মশক নিধন কাজ করে।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ‘অ্যাডাল্টিসাইড হিসেবে ইনভেন্ট লিকুইড ইনসেক্টিসাইড ব্যবহার করা হয়। আর টেমিফস ফিফটি পার্সেন্ট ইসি লার্ভিসাইড হিসেবে আর এলডিও ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধ বর্তমানে সীমিত আকারে মজুদ আছে।

সবচেয়ে বেশি কার্যকর অ্যাডাল্টিসাইড ও এলডিও একত্রে ব্যবহার করা। তাই পুরো বছরের জন্য ৪০ হাজার লিটার অ্যাডাল্টিসাইড কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন ফগিংয়ের জন্য যে লোকবল সংকট আছে। একটি ওয়ার্ডে চারজন লোক দিয়ে কাজ হয় না। বড় এলাকা এক দিনে কাভার করার মতো জনবল বা মেশিন নেই। তাই আমরা লার্ভিসাইড ও এলডিওগুলো দিয়ে ডিম অবস্থায় লার্ভা ধ্বংসের চেষ্টা করি। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস বলেন, ‘এখানে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেশি। এতদিন এডিস মশা কম ছিল। কিন্তু এখন থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ার সম্ভাবনা আছে। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গু কমলেও এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে।  

সর্বশেষ খবর