মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

উদ্যান সংকটে নাগরিক বিনোদন

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

উদ্যান সংকটে নাগরিক বিনোদন

কুমিল্লা নগর উদ্যান। এটি নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে অবস্থিত। এখানে প্রাতঃভ্রমণকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে পারেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এ রকম আরও তিনটি উদ্যানের দাবি প্রাতঃভ্রমণকারীদের।

সূত্র মতে, কুমিল্লা নগরীতে ভোটার সোয়া দুই লাখের বেশি। বাসিন্দা পাঁচ লাখের মতো। সকালে ব্যায়াম ও হাঁটার জন্য উদ্যান বলতে একটি। সেটি ধর্মসাগর পাড়ে অবস্থিত। এতে বঞ্চিত থাকে নগরীর অন্য এলাকার বাসিন্দারা। নগরীর পুরাতন গোমতীর পাড়ে, হাউজিং এস্টেটে এবং পদুয়ার বাজার এলাকায় আরও নগর উদ্যান করা যেতে পারে। এতে মানুষ ব্যায়াম ও অবকাশ সময় কাটানোর সুযোগ পাবে।

নগরীর বাদুরতলা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পাশ ঘেঁষে ধর্মসাগরে প্রবেশ করলেই মূল ফটক। মূল ফটক আর দেয়ালে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। একটু এগিয়ে গেলে আরও দেখা যাবে বাহারি নকশার বসার বেঞ্চ। নগর উদ্যানের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজটি করেন চিত্রশিল্পী জুনায়িদ মোস্তফা চৌধুরী।

ধর্মসাগর পাড়ে হাঁটতে আসা শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইকবাল আনোয়ার বলেন, দোকান উচ্ছেদের পর হাঁটার জায়গা প্রশস্ত হয়েছে। এখানে দিঘির বাকি তিন পাড়ে ওয়াকওয়ে হলে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সুবিধা হবে। লেখক এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বলেন, নগর উদ্যানের সৌন্দর্য রক্ষায় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে নজরদারি করতে হবে। এখন সকালে হাঁটতে ভালো লাগে। এই অবস্থা যেন বিদ্যমান থাকে। এরকম উদ্যান নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা যেতে পারে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, নগরীতে সম্প্রতি পরিকল্পিত কিছু গড়ে ওঠেনি। ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে নগর উদ্যান গড়ে তোলায় সর্বত্র অসংগতি রয়েছে। মানুষের ব্যায়াম ও অবকাশ সময় কাটানোর জন্য পরিকল্পিত নগর উদ্যান গড়ে তোলা প্রয়োজন। সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল কুমিল্লাবাসীর বিনোদনের জন্য একটি নগর উদ্যান গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে ধর্মসাগর পাড়ের নগর উদ্যান সংস্কার করা হয়। তিন পাড়ের ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শেষ করা যায়নি। তেলীকোনা এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে শিশু পার্ক নির্মাণ করেছি। যা শিশুদের জন্য উন্মুক্ত। জায়গা পেলে আরও কিছু নগর উদ্যান গড়ে তোলা যেত।

সর্বশেষ খবর