চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম ব্যস্ততম ফুটওভার ব্রিজ মুরাদপুর। প্রতিদিন সকাল-বিকাল-দুপুর সমানে ব্যস্ত থাকে ব্রিজটি। কিন্তু এখানে ওঠার পথে এবং ওপরে চলাচলের পথের বড় একটি অংশজুড়ে দখলে থাকে হকার, ভবঘুরে এবং ভিক্ষুকের। ফলে পথচারী, নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়। শিশু শিক্ষার্থীদের নানা রকম অস্বস্তি ও ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়। অন্যদিকে, নগরের অপর ব্যস্ততম ফুটওভার ব্রিজ বাওয়া স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজটি। বাওয়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা এটি ব্যবহার করে। কিন্তু এটিও দখলে থাকে ভবঘুরে ও ভিক্ষুকদের। অভিন্ন চিত্র নগরের অন্যান্য ফুটওভার ব্রিজগুলোরও। অনেক ফুটওভার ব্রিজে পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। নগরের ফুটওভার ব্রিজগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) দেখাশোনা করে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, ফকিরহাট, ইপিজেড মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ আছে। এর মধ্যে নিউমার্কেট ও স্টেশন রোডের ওভারব্রিজ অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী। মল-মূত্রে অপরিচ্ছন্ন অবস্থা। প্রায় সময়ই থাকে মদ-গাঁজা সেবনকারীদের আড্ডা। এলোমেলোভাবে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা পড়ে থাকে। ফলে এগুলো অনেকটা পরিত্যক্ত হয়ে আছে।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ফুটওভার ব্রিজগুলো পরিচ্ছন্ন বিভাগ নিয়মিত পরিষ্কার করে। তাছাড়া সেখানে হকার বসার নিয়ম না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তারা বসে যায়। চসিক তাদের উঠে যেতে বলে। কিন্তু সব সময় তো পাহারা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।অন্যদিকে, ভবঘুরেদের নামিয়ে দেওয়া হলেও তারাও আবার ঘুরেফিরে চলে আসে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মুরাদপুর ফুটওভার ব্রিজের ওপরই এক পাশ দখল করে বসে আছে একাধিক হকার। তারা কেউ মোবাইলের নানা রকম কাভার, হেডফোন, কেউ ছোটদের কাপড়, কেউ মাস্ক বিক্রি করছেন। নানা পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে ওভারব্রিজে। ওভারব্রিজের মুখে থাকে ভিক্ষুক।
অন্যদিকে, বাাওয়া স্কুলের ফুটওভার ব্রিজের ওপর সব সময় থাকে একাধিক ভিক্ষুক। এর মধ্যে থাকে বীভৎস আকৃতি ও রোগাক্রান্ত ভিক্ষুকও। কিন্তু কোমলমতি শিশুরা এসব দৃশ্য দেখে অনেক সময় ভয়ও পেয়ে যায়।