মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বদলে গেছে শহীদ মতিউর পার্ক

হাসান ইমন

বদলে গেছে শহীদ মতিউর পার্ক

রাজধানীর গুলিস্তানে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নতুন করে সেজেছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান পার্ক। এই পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও সবুজ ঘাসের গালিচা এটিকে যেমন সবুজ উদ্যানে পরিণত করবে, তেমনি পার্কের মাঝখানে নয়নাভিরাম জলাশয় মুগ্ধ করবে যে কাউকে। পার্কটিতে যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক বেশ কিছু রাইড। এর মধ্যে রয়েছে স্লিপার, মিনি ট্রেন, জাম্পিং, হালিচিং, পেডেল বোট, নগর দৌলা, ভূতের ঘর। এ ছাড়া বড় ট্রেন, পৃথিবী, বাম্পার কার, লেলি কাটার, মেরিগো রাউন্ড, কাপসহ আরও সাতটি রাইড যোগ হচ্ছে।

স্বাধীনতার আগে এটি পল্টন মাঠ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তী সময়ে গভর্নর হাউস (বঙ্গভবন) ও পল্টন স্টেডিয়াম নির্মাণের সময় পার্কটি সংরক্ষণ করা হয়। রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের অদূরে পার্কটি সবার কাছে গুলিস্তান পার্ক নামে পরিচিত। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহত মতিউরের নামে ‘শহীদ মতিউর শিশু পার্ক’ নামকরণ করা হয়। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের পর থেকে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হতে থাকে। গত তিন বছর উন্নয়ন কাজ ও নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পার্কটিতে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনে সিটি করপোরেশন।

পার্কের মাঝখানে একটি জলাশয় (পুকুর) রয়েছে। পার্কটির ভিতরে চারদিক বাঁধাই করা পুকুরের পানিতে দেওয়া হয়েছে দুটি নৌকা। নৌকাগুলোতে কয়েকজন দর্শনার্থী চালাতে দেখা গেছে। সম্প্রতি এই পুকুরের চারপাশে বিভিন্ন রাইড যুক্ত করা হয়েছে। পুকুরে নামানো হয়েছে ওয়াটার বোট। পার্কে ঢুকতে প্রবেশ ফি দিতে হয় ১০ টাকা। ওয়াটার বোটে ৫০ টাকা, স্লিপার ৫০, ভূতের ঘর ৪০, মিনি ট্রেন, জাম্পিং, হালিচিং ও নগর দৌলায় জনপ্রতি ৩০ টাকা নেওয়া হয়। দর্শনার্থীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। এরই মধ্যে পার্কের ভিতরে বিনোদনের রাইড যুক্ত হওয়ায় সুনসান নীরব পার্কটি কোলাহলমুখর হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার, খাবার কেন্টিন, পাবলিক টয়লেট রয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পুরো পার্কটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত রয়েছে বলে পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ বিষয়ে পার্কটির তদারকির দায়িত্বে থাকা (ইনচার্জ) মো. রায়হান বলেন, এই পার্কটি ১৮ লাখ টাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে আমরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছি। পার্কে আরও কিছু রাইড যোগ হবে। পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তবে দর্শনার্থী সংখ্যা কম। শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ে।

সর্বশেষ খবর