মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতার আতঙ্ক

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এর শতভাগ সুফল পাওয়া যাবে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতার আতঙ্ক

চট্টগ্রামে এখন বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতার আতঙ্ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যাচ্ছে হাঁটুপানি। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। দুর্ভোগ ভোগান্তি হচ্ছে স্থানীয় নাগরিকদের। চট্টগ্রামে গত ৫ মে মাত্র ২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয় নগরের নিম্নাঞ্চল। সর্বশেষ গত শুক্রবার সকালে মাত্র ১০ মিনিটের বৃষ্টিতেই নগরের অনেক স্থানে হাঁটুপানি জমে যায়। তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

নগরের অভিশাপ খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ  ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া চসিক ১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে বহদ্দারহাট থেকে বারইপাড়া হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের একটি নতুন খাল। কিন্তু প্রকল্পগুলোর আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। খাল খননকাজও শুরু হয়নি এখনো। ফলে বর্ষা এলেই সঙ্গে নিয়ে আসে আতঙ্ক-ভয়, দুর্যোগ।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এর শতভাগ সুফল পাওয়া যাবে। তাছাড়া খালের মধ্যে দেওয়া বাঁধগুলো ক্রমেই অপসারণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের বাইরের খালগুলোও চসিক নিয়মিত পরিষ্কার করছে। বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়, সে ব্যাপারে কাজ চলছে। নগরে ছোট-বড় ৫৭টি খাল আছে। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল খনন-সংস্কার কাজ চলছে। বাকি খালগুলো চসিক নিয়মিত পরিষ্কার করছে। নগরের ৪১ ওয়ার্ডে খাল-নালা আছে ১ হাজার ১৩৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই খালের পাড় রয়েছে ১৯ কিলোমিটার। উন্মুক্ত নালা রয়েছে ৫ হাজার ৫২৭টি স্থানে। বর্ষায় এসব নালা ড্রেনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত এক বছরে নালা ড্রেন ও খালে পড়ে মারা গেছেন পাঁচজন। খোঁজ মেলেনি একজনের।

সর্বশেষ খবর