মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

চার খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ৮৯৮ কোটি টাকা

হাসান ইমন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) চার খালকে উদ্ধার ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে ৮৯৮ কোটি টাকার (সংশোধিত) প্রকল্পের ডিপিপি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এ প্রকল্পে খাল উদ্ধার করে দুই পাড়ে তৈরি হবে ওয়াকওয়ে, বাইসাইকেল লেন, বাগান, ফোয়ারা, ফুটওভার ব্রিজ, ইকোপার্ক, খালের দুই পাড়ে সবুজায়ন, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠ ইত্যাদি। প্রকল্পটি এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডিএসসিসি। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’।

বড়সড় এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- খালগুলোর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখা, খালে ময়লা-আবর্জনা না ফেলা, পানিপ্রবাহ ঠিক রেখে মশার প্রজনন বন্ধ করা, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, গ্রিনবেল্ট ও বসার স্থান বানিয়ে বিনোদন ত্বরান্বিত করা, নৌ-চলাচলের ব্যবস্থা করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ডিএসসিসির ৫০ লাখ লোক জলাবদ্ধতামুক্ত হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ডিএসসিসির কালুনগর, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খালের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

চার খালে যা থাকছে- খালের দুই পাড়ে এলইডি বাতি, সবুজায়ন ও ল্যান্ডস্কেপিং, বাগান, বৃক্ষরোপণ, ওয়াকওয়ে, বাইসাইকেল লেন, ফুডকোর্ট ও কফিশপ, বসার বেঞ্চ ও শেড, ওয়েস্টবিন স্থাপন, ইকোপার্ক ও শিশুদের খেলার জায়গা। এ ছাড়া পাবলিক টয়লেট, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, ব্যায়ামাগার, পাম্প হাউস ও পানির ফোয়ারা।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, কালুনগর, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল উদ্ধার করে সেগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে ৮৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প  নেওয়া হয়েছে। এ খালগুলো পরিষ্কার ও খাল খননসহ পাড় ঘেঁষে পায়ে হাঁটার পথ, খেলার মাঠ ও শিশু উদ্যান স্থাপনসহ সবার জন্য একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি, পানি নিষ্কাশনে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে চারটি খালের সংস্কার কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।

সর্বশেষ খবর