মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ইজিবাইকে ফগার মেশিন!

সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সিটির মশক নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে জোরেশোরেই। জনবল সংকট সত্ত্বেও মশক নিধন জোরদার করতে নতুনত্ব এনেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ইজিবাইকে ফগার মেশিন!

মশা মারতে ময়মনসিংহ সিটির ৩৩ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে কমপক্ষে তিনজন করে লোকবল প্রয়োজন। অথচ সব মিলিয়ে জনবল রয়েছে ২০ জন। শুধু তাই নয়, জনবল সংকটে ফগার  মেশিনগুলোও প্রতিনিয়ত ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে ৪৫টি ফগার মেশিনের মধ্যে এখন অকেজো ২৫টি।

এতসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সিটির মশক নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে জোরেশোরেই। জনবল সংকট সত্ত্বেও মশক নিধন জোরদার করতে নতুনত্ব এনেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। কার্যক্রমে এবার যুক্ত হয়েছে ডবল সিলিন্ডার ফগার মেশিন। এই ফগার মেশিনটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে। গত মাস থেকে এ উপায়ে নগরজুড়ে মশক নিধন শুরু হয়েছে। মসিক বলছে, এর মাধ্যমে কম জনবল দিয়েও দ্রুততম সময়ে অধিক এলাকায় উড়ন্ত মশা মারতে এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

ময়মনসিংহ সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, লোকবল সংকটের কারণে যন্ত্রগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হয়। বর্তমানে ২০টি ফগার মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সম্প্রতি মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে আমরা  মেশিনবাহী গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। পায়ে হেঁটে এই ওষুধ ছিটানোর কারণে মশক নিধন কার্যক্রম অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। অল্প জনবল দিয়েই এখন দ্রুততম সময়ে অনেক জায়গায় ওষুধ ছিটানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, মশক নিধনের জন্য আমরা বেশ কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করছি। যার অন্যতম হলো জনসচেতনতা এবং জনসম্পৃক্ততা। পাশাপাশি লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এবং জৈবিক উপায়ে মশক নিয়ন্ত্রণকেও আমরা গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর