মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়ক যেন পার্কিং জোন

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সড়ক যেন পার্কিং জোন

রাজশাহী মহানগরীর নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পাশের সড়কটি বর্তমানে মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের মোটরসাইকেল গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। অথচ এ সড়ক দিয়ে ডিগ্রি কলেজের তিনটি ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লোকজনও এ সড়ক ব্যবহার করেন। সড়কের দুই পাশে গাড়ি রাখায় পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে সড়কটি রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পাশ দিয়ে কাজীহাটা এলাকায় নগরীর প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির নাম কফিল উদ্দিন রোড। তবে এর নামে সড়কটি কেউ চেনে না। ছয় মাস আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করে সড়কটি চওড়া ও সংস্কার করেছে। এই সড়কের পশ্চিম পাশে আছে নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস, পূর্ব পাশে রাস্তার মাঝামাঝি জায়গায় আছে ছাত্রীনিবাস এবং উত্তর দিকে সড়কটির শেষ মাথায় আছে কলেজের হায়দার হোসেন ছাত্রাবাস।

কলেজের শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস থেকে শুরু করে উত্তর দিকে হায়দার হোসেন ছাত্রাবাস পর্যন্ত পুরো সড়কে সারি করে মাইক্রোবাস রাখা। শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসের সামনে কয়েকটি মাইক্রোবাস ধোয়ামোছা করতে দেখা যায়। ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে উত্তর পাশের মেডিকেল কলেজ রোড পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সড়কের পাশে আগে পুকুর ছিল। সেই পুকুরের পানি দিয়ে গাড়ি ধোয়ামোছার কাজ করা হতো। সম্প্রতি পুকুরটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের পর নতুন করে আরেকটি যন্ত্রণা যোগ হয়েছে। এখন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরাও মোটরসাইকেল সারিবদ্ধভাবে এই সড়কের পাশ দিয়ে রাখা শুরু করেছেন।

ছাত্রাবাসে থাকা দুজন ছাত্র বলেন, ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের এই সড়ক দিয়েই বের হতে হয়। কিন্তু সড়কটি সারা দিনই বেদখল হয়ে থাকে। তারা ঠিকমতো চলাফেরা করার সুযোগ পান না। ছাত্রীরা আরও বেশি ভোগান্তি পোহান। ছাত্রীনিবাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, মাইক্রোবাসের চালকরা সড়কের ওপর গাড়ি ধোয়ামোছার কাজ করেন। তাদের চলার পথে সারাক্ষণ লোকজন বসে থাকার কারণে তারা বাইরে বিব্রতবোধ করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের এই সমস্যার কারণে সম্প্রতি কলেজের প্রাচীর কেটে ভিতর দিয়ে তাদের ক্লাসে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু ক্লাসে যাওয়া ছাড়াও তাদের বাইরে বিভিন্ন কাজে যেতে হয়।

সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, তারা সব সময় চান সড়কগুলো মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকুক। ওই সড়কের বিষয়ে কী করা যায়, সেটি তারা ভাবছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর