মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনা ইউনিটে মেডিসিন ওয়ার্ড

১ হাজার শয্যার বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গড়ে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকে প্রতিদিন

রাহাত খান, বরিশাল

করোনা ইউনিটে মেডিসিন ওয়ার্ড

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট মেডিসিন ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত করণীয় চেয়ে গণপূর্ত বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। বরিশালে করোনা রোগী শূন্যের কোঠায় নেমে যাওয়ায় এবং হাসপাতালের মূল ভবনে রোগী সংকুলান না হওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউসহ অন্য যন্ত্রপাতি মেডিসিন বিভাগের মুমূর্ষু রোগীদের বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছেন তারা।

১ হাজার শয্যার বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গড়ে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকে প্রতিদিন। এর মধ্যে মেডিসিন বিভাগের ৪টি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী থাকে অর্ধেকের বেশি। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দা, করিডোর এমনকি হাঁটার পথেও রোগী রাখা হয় মেডিসিন, সার্জারি, শিশু এবং গাইনি ও প্রসূতি বিভাগে। অথচ ১ লাখ ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচ তলা বিশিষ্ট করোনা ইউনিটটি পড়ে আছে একেবারে রোগীশূন্য অবস্থায়। এ অবস্থায় হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডটি করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ও গাইনিসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে মানবিক বিপর্যয় চলছে। রোগীদের স্থান দেওয়া যাচ্ছে না। করোনা ওয়ার্ডে রোগী না থাকলেও সরকার এই ওয়ার্ডের কার্যক্রম বন্ধ করেনি। এ অবস্থায় করোনা ইউনিট ভবনে মেডিসিন বিভাগ স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু ওই ভবনটিতে ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের জন্য টয়লেট সুবিধা রাখা হয়নি। সে ক্ষেত্রে ভবনটি মোডিফিকেশন করতে হবে। বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে।

বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের মেডিকেল উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম বলেন, করোনা ইউনিটটিতে অক্সিজেন চেম্বারসহ লিফট এবং আনুষঙ্গিক সব ধরনের সাপোর্ট রয়েছে। এখানকার সেন্ট্রাল অক্সিজেন সার্ভিস এবং সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ রোগী সহায়ক। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে করোনা ইউনিট ভবনে অন্তত ২৫টি টয়লেটসহ অবকাঠামোগত আনুষঙ্গিক পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের নতুন পাঁচ তলা বর্ধিত ভবনে ১০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হয় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ। পরে এটিকে অত্যাধুনিক অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় এনে ৩০টি আইসিইউ, ৬২টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন করে ৩৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এ পর্যন্ত শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে ৭ হাজার ৬৭২ জন রোগী ভর্তি হয়। যার মধ্যে মোট ১ হাজার ৪৭৫ জন রোগীর মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর