মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতার পর ক্ষতবিক্ষত সড়ক

রেজা মোজাম্মেল, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতার পর ক্ষতবিক্ষত সড়ক

চট্টগ্রাম নগরে টানা চার-পাঁচ দিনের বর্ষণে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। পানি নিয়ে অন্তহীন ভোগান্তি সঙ্গী হয়েছিল তখন। জলাবদ্ধতার পর এবার দুর্ভোগের সঙ্গী হয়েছে ক্ষতবিক্ষত সড়ক। টানা বর্ষণে উঠে যায় সড়কের বিটুমিন, ইট-কংকর। তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। অনেক গর্তে জমে আছে পানি। কোথাও তৈরি হয়েছে পুকুর সদৃশগর্ত। ফলে গর্তযুক্ত সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সঙ্গে আছে ঝুঁকিও। নগরের সড়কগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সংস্কার-উন্নয়ন করে।

চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর একটি তালিকা করে চসিক। এরপর তালিকা ধরে সংস্কার কাজও শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু করে। এর আগে গত বছর ২০২১ সালের প্রথম বর্ষায় ৩৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার এবং ২০২০ সালের বর্ষায় ১৭০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষণে নগরের অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা প্রণয়ন করে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ডিভিশনগুলো ভাগ হয়ে নিয়মিত কাজ করছে। সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।

এবারের টানা বর্ষণে নগরের অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে আছে, বহদ্দারহাট-খতিবেরহাট সড়ক, মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক, শেখ মুজিব রোড, চৌমুহনী সড়ক, লালখান বাজার-টাইগারপাস সড়ক, দেওয়ানহাট-ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সড়ক, বহদ্দারহাট খাজা রোড, বিমানবন্দর সড়কের ইপিজেড মোড়, মাইলের মাথা, স্টিল মিল মোড় বাজার সড়ক, সিমেন্ট ক্রসিং, বন্দরটিলা সড়ক, বাকলিয়া, কেবি আমান আলী রোড, ইসহাকের পুল সড়ক, চকবাজার-রাহাত্তার পুল সড়ক, মেরিনার্স সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক, উপসড়ক ও গলিগুলোর অবস্থা বেশ বেহাল হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর