রাজধানীর উত্তর ভাষানটেকের মাটিকাটা সড়কটি দখল করে বসানো হয়েছে বাজার। এই বাজারে দোকান ভাড়া দেওয়ার নাম করে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অথচ সিটি করপোরেশন এই সড়কে বাজার বসানোর কোনো ইজারা দেয়নি।
উত্তর ভাষানটেকের মাটিকাটা সড়কটি প্রায় দুই লেনের। সড়কটির একপাশে ৩০টি এবং অপরপাশে ৩৮টি বাড়ি রয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে দু-একটি ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান বসত। ধীরে ধীরে দোকান বাড়তে থাকে। এখন ওই সড়কটি দখল হয়ে অন্তত ৪০০ দোকান বসেছে। এর মধ্যে সবজি, ফল, মাংস, মাছ, মুরগি এবং মসলাজাতীয় পণ্যের দোকান রয়েছে। অনেকটা ইজারা নেওয়ার মতো একটি বাজার কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এর সভাপতি ইমরান হোসেন খোকন। তিনি ওয়ালটন শো-রুমের বিপরীতে ৬৮ নম্বর বাড়ির মালিক। দোকানদাররা জানান, সবজি, ফল, মাংস ও মসলাজাতীয় দোকান থেকে নেওয়া হয় ২০০ টাকা করে। যে বাড়ির সামনে বসে সেই বাড়িওয়ালাকে দিতে হয় আরও ১০০ টাকা করে। মাছ বিক্রেতাকে গুনতে হয় ৪০০ টাকা করে। বাড়িওয়ালাকে দিতে হয় ১০০ টাকা। প্রতিদিন এই সড়কে বাজার বাসানোর বিনিময়ে ওঠে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কথিত বাজার কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন খোকন বলেন, দোকানদারদের কাছে রাতে পাহারায় থাকা লোকজন কিছু টাকা নিলে নিতে পারে। থানা-পুলিশও নিতে পারে, তবে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে আমরা শৃঙ্খলার জন্য কমিটি করেছি। এটি আসলে বাজার নয় একটি রাস্তা, এখন বাজার বসে।এই বাজার কমিটির সেক্রেটারি ৫৫ নম্বর হাজি কমপ্লেক্স বাড়ির মালিক হাজি মো. হানিফ। তিনি বলেন, টাকা তোলা হয়। তবে যে পরিমাণের কথা দোকানদাররা বলেছেন তা সত্য নয়। রাস্তা পরিষ্কারের লোক রাখা হয়েছে, তাদের বেতনের জন্য ওই টাকা তোলা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ওই বাজার বাসানো সম্পর্কে পুলিশ কিছুই জানে না। তবে সেখানে পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়ে বাজার তুলে দিয়েছে।