মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত পথশিশু

আবু তাহের খোকন

ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত পথশিশু

ঢাকার বিভিন্ন বাসস্টপেজ, ফুটপাত, পরিত্যক্ত ফুটওভার ব্রিজ ও পার্কে বসে পথশিশুদের প্রায়ই মাদক নিতে দেখা যায়। এসব শিশু ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়ে, টেম্পোর হেলপারি করে এবং হোটেলে ফুটফরমায়েশ খেটে অল্প কিছু টাকা আয় করে। এর বেশির ভাগই মাদক ড্যান্ডির পেছনে ব্যয় করে তারা। নেশার এই উপকরণটির নাম ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ড্রাইট আঠা, তবে ‘ড্যান্ডি’ নামেই এটি বেশি পরিচিত। টলুইন সমৃদ্ধ এই অ্যাডহেসিভ ছোটখাটো ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ডিভাইস, চামড়া ও প্লাস্টিকের পণ্য জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত হয়। মূলত ‘ড্যান্ডি’ ঘ্রাণযুক্ত এবং ঘ্রাণ থেকেই এক ধরনের আসক্তি হয়। চাহিদা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক পণ্য মেরামতের দোকান বা মুচিদের কাছ থেকে ১০-২০ টাকার বিনিময়ে অল্প পরিমাণে আঠা সংগ্রহ করে নেশায় মেতে ওঠে শিশুরা। একবার ড্যান্ডির ঘ্রাণ নিলে সারা দিন মাথা ঝিম ঝিম করে, কারও কথা মনে পড়ে না। শিশুরা নাক দিয়ে এই অ্যাডহেসিভের ঘ্রাণ নিয়ে নেশা করে। এটা মস্তিষ্কে গিয়ে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। ফলে তাদের ভিতরে এক ধরনের সুখের অনুভূতি তৈরি হয়। এই অনুভূতি ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়। মূলত সমাজ বিচ্ছিন্ন এই শিশুরা মাদক গ্রহণের মাধ্যমে সুখী থাকার চেষ্টা করে। ঢাকার মতিঝিল, গুলিস্তান, খিলগাঁও, কমলাপুর, মালিবাগ, তেজগাঁও, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় কেউ একা, আবার কেউ কেউ সংঘবদ্ধ হয়ে নেশা করে।

সর্বশেষ খবর