মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

উচ্ছেদে ‘নো কম্প্রোমাইজ’ নীতি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

উচ্ছেদে ‘নো কম্প্রোমাইজ’ নীতি

চট্টগ্রাম নগরের ফুটপাতগুলো অবৈধ দখলে। ফলে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হয় মূল সড়ক দিয়েই। নগরের নালা-নর্দমা ও ড্রেনগুলো আবর্জনা দিয়ে ভরাট এবং স্থাপনা তৈরি করে দখল করে ফেলা হয়েছে। ফলে চলাচল করে না পানি। তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবার ফুটপাত, নালা-নর্দমা ও ড্রেন উদ্ধার এবং অবৈধ       স্থাপনা উচ্ছেদে নো কম্প্রোমাইজ নীতি অবলম্বন করা শুরু করেছে। প্রায়  প্রতিদিনই চলছে উচ্ছেদ অভিযান। নতুন করে মাঠে নামানো হয়েছে বিশেষ ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’।

চসিক সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক মাসব্যাপী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ফুটপাত উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চলছে। গত রবিবার পর্যন্ত ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮৮টি মামলা, ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, প্রায় ৫০০টি দোকান-স্থাপনা উচ্ছেদ, জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকায় নালার ওপর থাকা ১০টি পাকা দোকান ও একটা ওয়াশব্লক সম্পূর্ণরূপে অপসারণ এবং একটি বাউন্ডারি দেয়াল অপসারণ করা হয়। নগরের বহদ্দারহাট মোড়, জিইসি মোড়, বাকলিয়া এলাকা, হাটহাজারী রোডের বিবিরহাট বাজার-আতুরার ডিপো মোড় হয়ে অক্সিজেন মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। তাছাড়া উচ্ছেদকৃত স্থানগুলো নিয়মিত তদারকি এবং ফের দখল ঠেকাতে গত রবিবার থেকে নগরজুড়ে প্রথমবারের মতো নামানো হয়েছে বিশেষ পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, নগরবাসীর স্বার্থে চসিক ফুটপাত উদ্ধার ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে চসিক নো কম্প্রোমাইজ নীতি অবলম্বন করছে। নগরবাসীর প্রয়োজনে চসিক কঠিন সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন করছে। নগরের ৪১ ওয়ার্ডজুড়েই চলছে এ অভিযান। তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ফুটপাত উদ্ধারে নতুন সংযোজন হলো স্ট্রাইকিং ফোর্স। এখন থেকে উচ্ছেদকৃত স্থানে আবার নতুন করে কেউ দখল করতে পারবে না। স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়মিতই উচ্ছেদকৃত জায়গাগুলো পরিদর্শন করবে। কোথাও পুনর্দখল হতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আবারও উচ্ছেদে ‘অ্যাকশন’ শুরু হবে। ফুটপাত-সড়ক সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করা হবে।            

জানা যায়, চসিক নিয়মিতই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বেদখলমুক্ত করতে অভিযান চালায়। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় সকালে অভিযান চালালে বিকালে আবারও তা দখল হয়ে যায়। এ অবস্থায় উচ্ছেদকৃত জায়গা পুনর্দখল রোধে কাজ করবে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’। দলটি উচ্ছেদ হওয়া জায়গাগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করবে। কোথাও পুনর্দখল হতে দেখলে আবারও উচ্ছেদ শুরু করবে। তাছাড়া, সারা শহর ঘুরে কোথাও সড়ক-ফুটপাত দখল হয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করবে। সব সময় টহলে থাকবে দলটি, তদারকি করবে উচ্ছেদকৃত স্থানগুলো। একই সঙ্গে সমগ্র শহর ঘুরে  কোথাও সড়ক-ফুটপাত দখল হয়েছে কি না তা চিহ্নিত করে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে অবগত করবে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে।

সর্বশেষ খবর