বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কের লোহার বিভাজকগুলো (ডিভাইডার) বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। লোহার ডিভাইডারগুলোতে আঘাত লেগে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) চতুর্থ পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধান প্রধান সড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপনের উদ্যোগ নেন। বান্দ রোড, হাসপাতাল রোড, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিএম কলেজ সড়ক, সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউসহ বিভিন্ন সড়কে জিআই পাইপ দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করে ডিভাইডার স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সময় যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে লোহার তৈরি ডিভাইডারগুলো ভেঙে কিংবা বাঁকা হয়ে যায়। ভারী যানবাহনের বেপরোয়া চালনার কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ডিভাইডার।
নগরীর আমতলা মোড় থেকে মেডিকেল হাসপাতাল সড়কের ডিভাইডারের ২টি জিআই পাইপ বিপজ্জনকভাবে বাঁকা হয়ে আছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। ওই সড়কে চলাকলকারী মোটরসাইকেল কিংবা হালকা যানবাহনগুলো প্রায়ই বাঁকা হয়ে যাওয়া পাইপে আঘাত লেগে দুর্ঘটনায় পড়ছে। সদর রোড বিবিরপুকুর এলাকার ডিভাইডারটির বিভিন্ন স্থান যানবাহনের আঘাতে বাঁকা হয়ে গেছে। অন্যান্য সড়কের ডিভাইডারগুলোর বিভিন্ন স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।ওইসব সড়কে চলাচলকারীরা জানান, সুষ্ঠুভাবে যান চলাচলের জন্য রোড ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ডিভাইডারের লোহার পাইপ ভেঙে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এতে আঘাত লেগে বিশেষ করে মোটরসাইকেল এবং হালকা যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ে। আহত হন যাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, সিটি করপোরেশনের উদাসীনতায় সড়ক ডিভাইডারে দিন দিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, সড়কের কোথাও ত্রুটি আছে কিনা সেগুলো দেখভাল করা সড়ক পরিদর্শকের দায়িত্বের একটি অংশ। কোথাও ত্রুটি বিচ্যুতি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে দ্রুত সেসব ত্রুটি মেরামত করা হয়। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানান।