মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিলবোর্ডে ঢাকা অশ্বিনী কুমার হল

রাহাত খান, বরিশাল

বিলবোর্ডে ঢাকা অশ্বিনী কুমার হল

বরিশালের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল বিলবোর্ড ব্যানারে ঢেকে গেছে। সারা বছরই ব্যানার-বিলবোর্ডে ঢেকে থাকে শতবর্ষী এই হলটি। সিটি করপোরেশন হলটি সংস্কার করলেও এর সামনে থেকে বিলবোর্ড ব্যানার অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক আন্দোলনের নেতারা। অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিলবোর্ড ব্যানার না সাঁটাতে নোটিস দেওয়া থাকলেও কেউ তা মানছেন না।

স্থানীয় মানুষের সভা-সমাবেশ করার লক্ষ্যে একটি হল নির্মাণের জন্য ১৯১৯ সালে অশ্বিনী কুমার দত্তের নেতৃত্বে হরলাল ঘোষ, ডা. তারিনী কুমার সেন ও এ কে ফজলুল হকের নামে সদর রোডের পাশে ৪২ শতাংশ জমি কেনা হয়। ১৯৩০ সালে সেখানে একটি হল নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে এই হল স্থানীয় সভা-সমাবেশের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

 বর্তমানে অশ্বিনী কুমার হলের আওতায় জমি আছে মাত্র ৩২ শতাংশ। বাকি জমি বেহাত হয়ে গেছে। প্রায় শতবর্ষী হলটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নাজুক অবস্থায় থাকায় সভা-সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায় সেখানে। সিটি করপোরেশন সম্প্রতি হলটি পূর্বের অবকাঠামো ঠিক রেখে সংস্কার করে। কিন্তু হলটির সামনে অংশ বিলবোর্ড ব্যানারে ছেয়ে যাওয়ায় সেটি ঢাকা পড়ে গেছে।

বরিশাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, অশ্বিনী কুমার হল বরিশালের সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র। ঐতিহ্যবাহী এই হলটিকে জনমুখী করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সিটি করপোরেশন সঠিকভাবে দেখভাল করছে না। এমন একটি হলের সামনে ব্যক্তি প্রচারণার বিলবোর্ড থাকা উচিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, নগরীতে বাণিজ্যিক যে কোনো বিলবোর্ড বা দৃশ্যমান প্রচারের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নিতে হয়। করপোরেশনও রাজস্ব পায়। অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ব্যানার-বিলবোর্ড সাঁটানোর জন্য কেউ অনুমতি নেয়নি। তিনি বলেন, হলে কিংবা হলের সামনে ব্যানার-বিলবোর্ড না সাঁটানোর অনুরোধ জানিয়ে সেখানে দুই জায়গায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। হলের সামনের অবৈধ বিলবোর্ড-ব্যানার অপসারণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর