মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হাসপাতাল সড়কে নির্মাণসামগ্রী!

১৯৬৮ সালে নির্মিত এই হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৯৬০ ফুট দীর্ঘ। ভবনে যাতায়াতের জন্য তিনটি ফটক রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের চলাচল মাঝখানের প্রধান গেট দিয়েই

রাহাত খান, বরিশাল

হাসপাতাল সড়কে নির্মাণসামগ্রী!

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলাচলের প্রধান পথে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো রোগী ও তাদের স্বজনরা। গণপূর্ত বিভাগকে তাগাদা দেওয়ার পরও তারা চলাচলের পথ উন্মুক্ত করেনি বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।

গত মধ্য সেপ্টেম্বরে হাসপাতালের পুরনো প্রধান ফটক ভেঙে সেখানে নতুন ফটক নির্মাণের কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। শুরুতে প্রধান ফটকে বিশাল গর্ত খুঁড়ে পুরো পথটি বেড়া দিয়ে আটকে দেয় তারা। দেড় মাস ধরে প্রধান ফটকের ভিত্তি নির্মাণের পর গত সপ্তাহে আটকে দেওয়া বেড়া খুলে দিয়েছে। কিন্তু প্রধান সড়কের এক পাশে ঠিকাদারের সাইট অফিস এবং অন্য পাশে বালুসহ নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। এ কারণে বেড়া খুলে দিলেও হাসপাতালে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে রোগী, স্বজন, ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীদের। রিকশা কিংবা গাড়ি নিয়ে চলা যায় না ওই পথে। এতে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বরিশাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, একটি হাসপাতালে চলাচলের প্রধান গেট ও রাস্তা আটকে উন্নয়ন কাজ অযৌক্তিক। রাস্তার ওপর বালু স্তূপ করে রাখায় প্রধান সড়ক দিয়ে হাসপাতাল যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছে মানুষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় নির্মাণসামগ্রী রাখতে পারত তারা। এতে জনদুর্ভোগ হতো না।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা না আটকিয়ে গেট নির্মাণের জন্য বাববার গণপূর্তকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তারা কথা শোনেনি। বিষয়টি সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

হাসপাতালে চলাচলের পথ দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  কামরুল হাসান। শেরেবাংলা মেডিকেলের প্রধান গেট নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। ১৯৬৮ সালে নির্মিত এই হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৯৬০ ফুট দীর্ঘ। ভবনে যাতায়াতের জন্য তিনটি ফটক রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের চলাচল মাঝখানের প্রধান গেট দিয়েই।

সর্বশেষ খবর