ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রংপুর নগরীতে যানজট নিরসনে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। নগরীর লক্ষ্মী সিনেমা হল মোড়, গোমস্তপাড়া মোড়, জীবন বীমা মোড়, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়, বেগম রোকেয়া কলেজ মোড়, পায়রা চত্বরের পূর্বদিকসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্ট বসানোর কারণে মূল শহর জীবন বীমার মোড় থেকে লক্ষ্মী সিনেমা হল পর্যন্ত যানজট কিছুটা কমেছে। এ জন্য নগরবাসী ট্রাফিক বিভাগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে যেসব স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে সেসব স্থানে যানজট আগের চেয়ে বেড়েছে। অনেকে এটাকে হিতে বিপরীত বলে মনে করছেন। ওই চেকপোস্টগুলোতে অটোরিকশার কারণে জট লেগেই রয়েছে। ফলে চেকপোস্ট এলাকাগুলো অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ বলে মনে হচ্ছে।
নগরবাসীর অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেন, চেকপোস্ট না বসিয়ে যদি আগের পদ্ধতি চালু থাকত এবং যত্রতত্র অটোরিকশা থামানো বন্ধ করা যেত তাহলে যানবাহন ধীরগতিতে চললেও চেকপোস্টের মতো জট হতো না। রাস্তার বাম দিক উন্মুক্ত রাখতে পারলেও যানজট অনেকটা কমে যেত। কারণ, অনেকে বাম পাশে যাবেন কিন্তু অন্যান্য যান বামপাশ দখল করে থাকায় ডান পাশের মতো বামপাশের যানকে অপেক্ষা করতে হয়। এতে সময় ক্ষেপণের পাশাপাশি জটও লাগছে। রংপুর সিটি করপোরেশন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে ৮ হাজার। এর মধ্যে অটোরিকশার ৫ হাজার এবং রিকশার ৩ হাজার। কিন্তু নগরীতে অটোরিকশা ও রিকশা চলছে ৩০ হাজারের বেশি। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বাইরের জেলা ও উপজেলা থেকে শত শত অটোরিকশা প্রবেশ করবে। তাই যানজট নিরসন ও নিরাপদ যাতায়াতে রংপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এটিকে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে চেকপোস্ট এলাকায় জট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা দেখতে চান নগরবাসী।