চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের হালিশহর এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চৌচালা সড়কটি সংস্কার করে। কাজ শেষ করার ১৫ দিনের মধ্যেই ওয়াসা স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য কাটাকাটি শুরু করে। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ-অসন্তোষ। স্থানীয়দের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এভাবে চসিক নগরের সড়ক নির্মাণ মেরামত করে এবং নির্মিত সড়ক ওয়াসা কাটে। তাছাড়া সংস্কার সড়ক পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আবার কাটতে গিয়ে কাজ বন্ধের ঘটনাও ঘটে।
গত ২৮ জুলাই চসিকের সাধারণ সভায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের মেরামতকৃত সড়ক ওয়াসা যখন-তখন কাটাকাটির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে একজন কাউন্সিলর সভায় অভিযোগও করেন। নগরবাসীর অভিযোগ, চসিক-ওয়াসা দুটি সরকারি সেবা সংস্থা। জনগণের করের টাকায় সংস্কার-উন্নয়ন কাজ করা হয়। দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তারা যদি সমন্বয় করে কাজ করে, তাহলে বিনা কারণে জনগণের টাকা নষ্ট হয় না, জনগণও ভোগান্তিতে পড়বে না।
জানা যায়, চসিকের নির্মিত সড়ক ওয়াসার কাটাকাটি করা, কাটা সড়ক মাসের পর মাস সংস্কার না এবং সংস্কার করলেও তা যথাযথভাবে না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ওয়াসার এমন ভূমিকায় দুর্ভোগ বাড়ে স্থানীয়দের। তবে রবিবার চসিকের সাধারণ সভায় আবারও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল। সাধারণ সভায় বলা হয়, ‘ওয়াসা নতুন সড়ক করার পর কেটে ফেলছে। চসিক সড়ক নির্মাণের সময় সড়কের নিচে ম্যাকাডম, বালু, ইট, পাথরসহ যেসব নির্মাণ সামগ্রী দেয় ওয়াসার ঠিকাদাররা রাস্তা কাটার পর তা নিয়ে যায় এবং কাজের পর সাধারণ মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে দেয়। ফলে বর্ষার সময় সেই মাটি নিচু হয়ে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। কাউন্সিলররা ওয়াসাকে কোনো রাস্তা কাটার আগে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।’ ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ওয়াসা প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে চসিক থেকে সড়ক কাটার অনুমতি নেয়। কাজ শেষে তা আবার সংস্কারও করে দেয়। নিয়ম মতে চসিককে সড়ক কাটার টাকাও দেওয়া হয়। তবে মাঝে মাঝে হয়তো নানা কারণে কর্তনকৃত সড়ক সংস্কারে একটু বিলম্ব হয়।