চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে গত এক মাস আগেই সড়কের পাশের নালা ও ডিভাইডার সংস্কার-উন্নয়নে খোঁড়া হয়। কিন্তু প্রায় এক মাস হতে চললেও সেখানে এখনো সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। একইভাবে নগরের আসকার দিঘির উত্তর পাড়ের সড়কের নালা সংস্কারের জন্য খোঁড়া হয় প্রায় এক মাস আগে। কিন্তু সে কাজও এখনো শেষ হয়নি। এভাবে কেবল এই দুই অংশ নয়, নগরের বাকলিয়া, ডিসি রোডসহ অনেক এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়া হলেও সে কাজ শেষ হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের নালা-নর্দমা ড্রেন এবং সড়কের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। কার্যত এরপর থেকেই চসিকের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। তাছাড়া ৫ আগস্টের পর থেকে চসিকের মেয়র ও ৪১ কাউন্সিলর নগর ভবনে অনুপস্থিত। ফলে, উন্নয়ন কাজে দেখা দেয় ধীরগতি। তবে গত সপ্তাহে সরকার সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার চসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন কাজ, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং মশকনিধন নিয়ে কথা বলেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্র্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্টের পর কয়েক দিন উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে এমনটি হয়েছে। তাছাড়া ওই সময় শ্রমিকদেরও পাওয়া যায়নি। পরে তারা আস্তে আস্তে কাজে যোগ দিয়েছেন। আবার এখন সরকার চসিকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে, এখন আর কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সব কাজ আগের নিয়মে স্বাভাবিক গতিতে চলবে। নাগরিক সমস্যার বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম নগরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর সড়ক সম্প্রসারণ ছাড়াও আরও অনেক সড়ক মেরামত-সংস্কার করা হচ্ছে। নির্মাণ করা হবে ৩৮টি ওভারব্রিজ, ১৪টি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট। বর্তমানে নির্মাণকাজ চলছে ১৭টি গোল চত্বর আধুনিকায়নের। প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিমানবন্দর সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা। এ সড়কে নির্মাণ করা হবে ৬০০ মিটার ওভারপাস। প্রকল্পের অধীনে ৭৬২ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন করা হবে।