সিলেট নগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সঙ্গে রয়েছে ব্যাটারিচালিত বেপরোয়া রিকশা। যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবেও অবৈধ অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশাকে দায়ী করছেন নগরবাসী। যানজট কমানো ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার কঠোর অ্যাকশনে যাচ্ছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। সড়ক থেকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা সরিয়ে নিতে যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অবৈধ এসব যানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে পুলিশ। অবৈধ যান সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সিলেট নগর ও নগরের বাইরের অটোরিকশা হলুদ ও সাদা রং দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করারও নির্দেশ দিয়েছে এসএমপি।
সিলেট নগরীতে কয়েক হাজার রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। এ ছাড়া যত্রতত্র পার্কিং, স্ট্যান্ড স্থাপন ও বাহিরের অটোরিকশা নগরে প্রবেশ এবং ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্যের কারণে নগরীতে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট লেগে থাকত।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিলেট নগরীতে যানজট নিরসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সড়ক থেকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ। কমিশনার হিসেবে মো. রেজাউল করিম দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তিনি এ উদ্যোগ নেন। রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। গত সোমবার এ সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো অনেক অবৈধ অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরীতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এসএমপির গণমাধ্যম কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, মহানগরের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অবৈধ অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত নিষিদ্ধ রিকশা চলাচল বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা সরিয়ে নেননি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নামবে পুলিশ। এ ছাড়া সিলেট নগরের (মেট্রো) ভিতর চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সবুজ রঙের সঙ্গে হলুদ বর্ডার ও নগরের বাইরের অটোরিকশায় সবুজের সঙ্গে সাদা বর্ডার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।