প্রতিদিন যানজটে থমকে যায় কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা। অধিকাংশ মোড়ে, অলিগলিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। নগরীতে দিনের বেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাস প্রবেশে এ যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে মালবাহী পরিবহন ট্রাকও প্রবেশ করতে দেখা যায়। নগরী ঘুরে দেখা যায়, সকালে, দুপুরে, বিকাল, সন্ধ্যায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাস প্রবেশ করে। বিশেষ করে বাসগুলো কান্দিরপাড় অতিক্রমের সময় যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। এ ছাড়া ট্রাকও প্রবেশ করতে দেখা যায়। এ যানজট ছড়িয়ে পড়ে নগরীর কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, নিউমার্কেট, রানীর বাজার, টমছম ব্রিজ এলাকায়। মূল সড়কের যানজট থেকে বাঁচতে অনেকে ছোট পরিবহন নিয়ে গলিতে প্রবেশ করেন। সেখানেও যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। এদিকে কান্দিরপাড়ের ফুটপাত আবার দখল হয়ে গেছে। মানুষকে হাঁটতে হচ্ছে সড়কে। একই অবস্থা কান্দিরপাড় থেকে রানীর বাজার সড়কে। ওই সড়কের ক্যাতয়নী কালীবাড়ির সামনে সড়কের একাংশ ভাঙা। সড়কের ভালো অংশে হকার তার বক্স রেখেছে। পাশের ফুটপাতে দোকানি তার মালামাল রাখছেন। সরু সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করা হচ্ছে।
নগরীর ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ডা. গোলাম শাহজাহান বলেন, নগরীর সড়কগুলো অনেক সংকীর্ণ। তার ওপর প্রয়োজনের বেশি ইজিবাইক ও রিকশা চলছে। এ ছাড়া দিনের বেলায় নগরীতে বাস-ট্রাক প্রবেশে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড় মোড়, লাকসাম রোড, কান্দিরপাড় থেকে রানীর বাজার সড়কের প্রবেশমুখ ও টমছম ব্রিজে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। দিনের বেলায় বড় পরিবহন প্রবেশ, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দাঁড়ানোর কারণে এখানে যানজটের মাত্রা বেড়ে যায়। এগুলোকে সরিয়ে দিতে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
কুমিল্লার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সবাই সচেতন না হলে পুলিশ একা কিছু করতে পারবে না। আমরা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। এদিকে নগরীতে দিনের বেলায় বাস প্রবেশের বিষয়েও সবার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।