বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

৫০ বছরে সোনালী ব্যাংক

নাগরিক সেবার নতুন যুগে প্রবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫০ বছরে সোনালী ব্যাংক

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অংশ নেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরসহ দেশের খ্যাতনামা ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর করেছে। এই ৫০ বছরে নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে পার করেছে। দেশের মানুষকে ব্যাংকিং সেবা ছাড়াও দেশের শিল্পায়নে বড় ভূমিকা রয়েছে ব্যাংকটি। বাংলাদেশে বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে সোনালী ব্যাংকের হাত ধরে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এই ব্যাংকের অর্থায়নে। শুধু ঋণ বা অর্থায়নের ক্ষেত্রে নয়, সরকারে যে কোনো আর্থিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব সময় এগিয়ে থেকেছে ব্যাংকটি। কৃষি ঋণের বিস্তার ঘটিয়েছে সারা দেশের প্রান্তিক কৃষকের কাছে। এর বাইরে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব রকম ভাতা গ্রাহকদের কাছে সরাসরি দিচ্ছে তারা। কোনো রকম চার্জ ছাড়াই এই সেবা দিচ্ছে বছরের পর বছর। এমন হাজারো রকম সেবা দিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটি। ৫০ বছরের এই প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্তিতে ব্যাংকের বড় পদক্ষেপ ছিল প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের বাইরে একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে একে প্রতিষ্ঠা করা। গত পাঁচ বছরে তার সিংহভাগ বাস্তবায়ন করেছে বর্তমান এমডি ও বোর্ডের নেতৃত্বে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবায় বেসরকারি ব্যাংকের আধিপত্যের মধ্যেও চমক দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। করোনাকালে প্রান্তিক মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বেশির ভাগ অগ্রগতি এসেছে বিশেষ করে গত দুই বছরে। এর মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বিকাশ অ্যাপের সঙ্গে লেনদেন, ব্লেইজ (BLAZE) অ্যাপের মাধ্যমে পাঁচ সেকেন্ডে টাকা জমা করাসহ বেশ কিছু উদ্ভাবনী সেবা দিচ্ছে ব্যাংকটি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক লেনদেনের অ্যাপ পেপালের জুম সেবা নিয়ে আসে সোনালী ব্যাংক। তবে বর্তমানে ব্লেইজের মাধ্যমেই বেশি জোর দিচ্ছে ব্যাংকটি। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২২৭টি শাখায় প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিক লেনদেন করতে পারছেন। পাশাপাশি সোনালী ই-সেবা অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি ফি জমা দেওয়া যায় নিমিষেই, যা এক সময় কল্পনাতীত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ফিনটেক বাস্তবায়নে পাঁচ বছরের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তার প্রায় ৮০ শতাংশই দুই বছরে সম্পন্ন করে ফেলে। এ ক্ষেত্রে সোনালী ইনটেলেক্ট নামে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর