বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আসছে গোল্ডেন জুবিলি ফান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আসছে গোল্ডেন জুবিলি ফান্ড

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড) বিধিমালা-২০২১ এর অধীনে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে সিএমএসএফ উদ্ভাবনী কাজ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এসব উদ্ভাবনী কাজের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড প্রবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ তহবিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার মহিমান্বিত সুবর্ণজয়ন্তী  ও মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে এটি প্রবর্তিত হয়।

এ তহবিলের নামকরণ করা হয়েছে ‘আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড’। এ তহবিলের আকার ১০০ কোটি টাকা, যা একটি ক্লোজড-অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড, যার প্রতিটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। আইসিবি এএমসিএলকে তহবিল ব্যবস্থাপক, ব্র্যাক ব্যাংককে হেফাজতকারী এবং বিজিআইসিকে ‘ট্রাস্টি’ হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, এ মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, ফান্ডের আকার কখনোই হ্রাস পাবে না বরং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড বৃহৎ ভূমিকা পালন করে এবং কমিশন দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি সাধারণ জনগণের উৎসাহ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। সুতরাং, বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন আশা করতে পারেন। ঐতিহাসিক মার্চ মাসের শেষ কার্যদিবসে বিএসইসি ‘আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ডের খসড়া ট্রাস্ট দলিল এবং বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা চুক্তি অনুমোদন করেছে। বিধিমালা অনুসারে, সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অদাবিকৃত এবং অবণ্টিত নগদ বা স্টক ডিভিডেন্ড, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অবরাদ্দকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে নগদ এবং স্টকের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। তহবিলে জমা করা নগদ বা স্টক যে কোনো সময়ে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের দ্বারা যথাযথ দাবির ওপর ভিত্তি করে পরিশোধ বা নিষ্পত্তি করা হবে। সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়, অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা, বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের ঋণ প্রদান, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ধার দেওয়া এবং ধার নেওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের দাবির নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাজারে তারল্য নিশ্চিত করে এবং পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এ ফান্ডের ইস্যুয়ার হিসেবে কাজ করছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। আইসিবির নিজস্ব বিনিয়োগও রয়েছে ফান্ডে।

গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ডের (জিজেএমএফ) স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিএমএসএফের চেয়ারম্যান। সিএমএসএফের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আমাদের বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’। একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রায় এ ফান্ড ভূমিকা রাখবে। উন্নত দেশের যে স্বপ্ন আমাদের সামনে, সেখানে স্টক মার্কেট শক্তিশালী হতে হবে। আর সেটাই আমরা করছি।

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের সিইও মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গড়ে তুলতে কাজ করছি। এ ফান্ড বাজারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। দেশীয় বিনিয়োগকারীরা যেমন এখানে তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও মুনাফা পাবেন তেমনি তাদের আস্থার জায়গা হবে ফান্ড। আগামী ১১ এপ্রিল ফান্ডে ট্রাস্টি রেজিস্ট্রেশন হবে। প্রসপেক্টাস চূড়ান্ত করা হচ্ছে। প্রসপেক্টাস চূড়ান্ত করার পর ফান্ডের কার্যক্রম শুরু হবে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। এরপরই আমরা বাজারে ভূমিকা রাখতে পারব।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এখন অনেক বড় হয়ে উঠেছে। দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন আমাদের শেয়ারবাজারে। এ ফান্ড শেয়ারবাজারে বহুমুখী কাজ করবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েই আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

সর্বশেষ খবর