বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘুম একটি বিশেষ যোগব্যায়াম

ঘুম একটি বিশেষ যোগব্যায়াম

ছবি : ইন্টারনেট

চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিকালে মানুষ বিভিন্ন নাম জানা রোগের চিকিৎসায়-বিশ্রাম, নিয়মকানুন ও খাদ্য উপাদানের মাধ্যমেই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। যেমন- গলাব্যথা করলে গরম পানি খাবেন এবং গরম পানির গড়গড়া করবেন। সর্দি হলে কালিজিরা, মেথি এবং আদা খাবেন। ‘ভয়’ও এমন এক জিনিস যাকে জয় করা যায়, অর্থাৎ ভয়কে করব জয়। বলছিলাম ঘুমের কথা। সুস্থ ঘুম, শুধু সুস্থ মন ও দেহ তৈরি করে না, পরিণত এবং রুটিন মাফিক ঘুম আপনার শরীরকে বায়োলজিক্যাল ঘড়ি বা জৈবিক ঘড়ি হিসেবে গড়ে তুলবে অর্থাৎ দৈনিক একটি সময় বিছানায় পিঠ লাগালে ঘুমের জন্য কোনো চিন্তা করতে হবে না এবং ওষুধ খেতে হবে না। প্রতিদিন একই সময় উঠতে গেলে কোনো ঘড়ির অ্যালার্মের প্রয়োজন হবে না।

 

অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার ন্যূনতম চার থেকে ছয় ঘণ্টা আগে কফি, সিগারেট বা মদজাতীয় পণ্য বর্জন করা উচিত। কারণ এর প্রতিটি শুরুতে মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে উজ্জীবিত করে আবার সময়ান্তে স্নায়ুতন্ত্রকে গভীরভাবে অবশ বা নিস্তেজ বা অবসন্ন করে রাখে। শান্তির ঘুম বা গভীর ঘুম কখনো হতে দেবে না। আজেবাজে স্বপ্ন দেখাও হতে পারে। পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন চালানো গবেষণায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, কারা বেশি রোগাক্রান্ত হয়। যারা কম ঘুমায় কিংবা যারা বেশি ঘুমায় তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং কম বাঁচে। কম ঘুমানোর কারণে তারা রোগাক্রান্ত হচ্ছে কিনা সেটি বলা বেশ কঠিন। এখানে কম ঘুমানো মানুষ বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে, যারা রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমায়। অন্যদিকে বেশি ঘুমানো মানুষ বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে যারা নয় কিংবা ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমায়। বয়োসন্ধিকালের আগ পর্যন্ত প্রতি রাতে ১১ ঘণ্টা ঘুমানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের সময়টাও ভিন্ন হবে। নবজাত শিশু (৩ মাস পর্যন্ত) ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা। যদিও ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টাও যথেষ্ট হতে পারে। তবে কোনোভাবেই ১৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। শিশু (৪ থেকে ১১ মাস) : কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আর সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা। শিশু (১/২ বছর বয়স) : ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা। প্রাক-স্কুল পর্ব (৩-৫ বছর বয়স) : বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা। স্কুল পর্যায় (৬ থেকে ১৩ বছর) : এনএসএফের পরামর্শ ৯-১০ ঘণ্টার ঘুম। টিনএজ (১৪-১৭ বছর) : ৮-১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ (১৮ থেকে ২৫ বছর) : ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক (২৬ থেকে ৬৪ বছর) : প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের মতোই। অন্য বয়স্ক (৬৫ বা তার বেশি বছর) : ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম আদর্শ। কিন্তু ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।

 

লেখা : লাইফস্টাইল ডেস্ক

সর্বশেষ খবর