বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

পিঠের ব্যথা কমায় ইয়োগা

পিঠের ব্যথা কমায় ইয়োগা

ছবি : ইন্টারনেট

অল্পবিস্তর হলেও অনেকেই পিঠে ব্যথা সমস্যার শিকার হন। আজকাল কম বয়সীদের মধ্যেও পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে যারা দীর্ঘসময় বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করেন। পিঠের ব্যথা এড়াতে অনেকে মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো আবার কেনেন এমন সব স্যান্ডেল বা জুতা যা কিনা পিঠের ব্যথা কমাতে পারে বলে দাবি করা হয়। আসলে কিন্তু এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করে না। একটিমাত্র উপায় আছে যা সবার ক্ষেত্রে পিঠের ব্যথা কমাতে সক্ষম। এর থেকে বেরিয়ে আসার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিয়মিত শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম।

 

কেন হয়?

পিঠে ব্যথার সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। ভুল পাশে শোওয়া বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। অনেকেই ফোনে কথা বলার সময় হাত ফ্রি রাখার জন্য ফোনটাকে কাঁধের সাহায্যে কানে ধরে রাখেন। এমন অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। এতে কাঁধে ব্যথার পাশাপাশি ব্যাক পেইনও হতে পারে। আবার হঠাৎ করে কোনো ভারী বস্তু তুলতে গেলে পিঠে মারাত্মক আঘাত লাগতে পারে। অনেকেই ভারী ব্যাগ তোলার সময় হাঁটু মুড়ে পায়ের পেশি ব্যবহার না করে কাঁধ এবং পিঠের জোরে তুলতে চান। এতে পিঠে প্রচন্ড চাপ পড়তে পারে। পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই জিমে গিয়ে ওজন তোলা বা হাইপার এক্সটেনশন মুভমেন্টে পিঠের লিগামেন্ট এবং পেশির ওপর চাপ পড়তে পারে। এর থেকে পিঠের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সব সময় পিঠ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এমনকি ঘাড়ের ঝাঁকুনি হয় অর্থাৎ নাচানাচি করা, মোটরসাইকেল বা সাইকেল চালানো মানুষেরও পিঠে ব্যথা হয়।

 

সমস্যার সমাধান

একটু সতর্ক থাকলেই পিঠে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা আর থাকবে না। ঘুমানোর আগে শোয়ার বিষয়ে সতর্ক হোন। দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে কাজ করলে খেয়াল রাখুন যেন কম্পিউটার মনিটর আপনার আই লেভেলের নিচে থাকে। এতে কাঁধের মাসলে চাপ কম পড়বে। পাশাপাশি ধূমপান ও মদপান থেকে বিরত থাকুন। আমাদের অনেকেরই অজানা যে, সিগারেটের নিকোটিন হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। আবার অতিরিক্ত মদপান রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্তের স্বাভাবিক চলায় বাধা দেয়। এর থেকে ডিঙ্ক ডিজেনারেশন দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পিঠের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পাশাপাশি পেটের পেশি, হিপ ও বাট মাসল শক্তিশালী করার দিকেও জোর দিতে হবে। মনে রাখবেন, পেটের মাসল বসা, দাঁড়ানো, শোয়া, হাঁটা ও আপনার ঘুমানোর সময় সাপোর্ট দেয়। হিপ ও বাট মাসল সঠিক অবস্থানে রাখতে সাহায্য করে। তবে পিঠের ব্যায়াম করার সময় শুরুটা করুন ধীরে ধীরে। তাড়াহুড়া একদমই নয়। এমন কোনো ব্যায়াম করবেন না যাতে পিঠের শিরদাঁড়া ও পেশিতে আঘাত লাগে। আঘাত লাগলে উপকারের চেয়ে অপকারটাই বেশি হতে পারে।

 

লেখা : লাইফস্টাইল ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর